দীর্ঘ সময় ধরে ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। টেস্ট একাদশ থেকে বাদ পড়া তার জন্য যেন ছিল এক ধরনের সতর্কবার্তা। তাই এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) হয়ে উঠেছে তার পুনরুজ্জীবনের প্ল্যাটফর্ম। আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে নির্বাচকদের নজরে পড়ার এটিই বড় সুযোগ। এবং সুযোগটা জয় দারুণভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন-প্রথম দিনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রামের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে তার দল। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ওপেনার সাদিকুর রহমান আউট হন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার পরই, মুমিনুল হকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এরপর লাঞ্চের আগেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন জয়।
ইয়াসির আলি চৌধুরীর সঙ্গে গড়ে তোলেন কার্যকর জুটি। ধীরে ধীরে ইনিংস গড়তে থাকেন তিনি, অফ স্টাম্পের বাইরের বলগুলো ঠান্ডা মাথায় সামলে রান তোলেন নিয়ন্ত্রিত ভঙ্গিতে। লাঞ্চের পর দ্রুতই ফিফটি পূর্ণ করেন ৮৩ বলে, যেখানে ছিল সাতটি চারের মার। এরপর আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে থাকেন এবং ১৩৮ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১২টি চার ও দুটি ছক্কায়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি মাহমুদুল হাসান জয়ের পঞ্চম সেঞ্চুরি। এমন ইনিংস শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফেরানোর গল্পও। কারণ, টেস্টে শেষ ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি পাননি তিনি, আর শেষ ছয় ইনিংসের চারটিতেই দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই ফিরে গেছেন। বেশিরভাগ সময়ই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হওয়ায় তার টেকনিক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
কিন্তু জাতীয় লিগের এই সেঞ্চুরি সেই প্রশ্নের জোরালো জবাব দিয়েছে। একদিকে পরিণত ব্যাটিং, অন্যদিকে ধৈর্যের প্রতিফলন-সব মিলিয়ে জয় যেন নতুন করে শুরু করলেন নিজের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনের লড়াই।










Discussion about this post