জাতীয় ক্রিকেট লিগে আজ সোমবার প্রতিটি মাঠে দেখা গেছে তীব্র উত্তেজনা। রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের ব্যাটিং-বোলিংয়ে দর্শকরা উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের সাক্ষী থাকলেন, অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রিকেটাররা নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম শূন্য ইনিংসের মুখোমুখি হলেন।
রাজশাহীর তানজিদ হাসান এই আসরের সাদা পোশাকে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছায়া হয়ে উঠেছেন। জাতীয় দলে এখনও সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া লিগে ৭০ ম্যাচের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার তার সহজাত আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শন করেছেন। ঢাকা বিভাগের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করে, প্রিতম কুমারের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় লিডে এগিয়ে নেন। প্রথম ইনিংসেও তাইবুর রহমান চার রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে ছিটকে গেলেও দলের লিড গড়ে রাখেন। বল হাতে সানজামুল ইসলাম ও ওয়াসি সিদ্দিক তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন, যা ম্যাচকে সমানভাবে উত্তেজনাপূর্ণ করেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ চট্টগ্রামকে মাত্র ৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে জাতীয় লিগের ইতিহাসে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরে নাম লিখিয়েছে। আসাদুল্লাহ গালিব ২১ রানে ৬ উইকেট এবং শুভাগত হোম ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। রোহান ও অন্যান্য বোলারদের পারফরম্যান্স চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের ধ্বসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রথম ইনিংসের ৭৮ রানের পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রামের লক্ষ্য ৩১১ রানে দাঁড়ায়, কিন্তু তারা সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়।
রংপুর বিভাগও তিন দিনের মধ্যে জয় তুলে নেয়, মুকিদুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে বরিশালকে হারিয়ে। ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মিম মোসাদ্দেক নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস তুলে ধরেন। নবিনের ৪২ রানের অবিচ্ছিন্ন ইনিংস জয় নিশ্চিত করে।
সিলেট বিভাগে জাকির হাসান অবশেষে রানের দেখা পেয়েছেন। মুবিন আহমেদ দিশানের সঙ্গে ১৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন। দিনশেষে সিলেট এগিয়ে ৪৮ রানে, উইকেট বাকি আছে ৩টি।










Discussion about this post