জাতীয় শোকের দিনে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে দুদল। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামেন খেলোয়াড়রা। পতাকা অর্ধনমিত, নেই কোনো সঙ্গীত-সব কিছুতেই ফুটে উঠেছে দেশের বিষণ্ণতা। এমন দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ভেঙে পড়ে টাইগার টপ অর্ডার। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন জাকের আলি অনিক ও শেখ মেহেদী হাসান।
আজ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। শুরুতেই বাংলাদেশ পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ওপেনার নাঈম শেখ ৩ রান করে ফিরলে ধস নামে ইনিংসে। এরপর একে একে বিদায় নেন লিটন দাস (৮), তাওহিদ হৃদয় (০), ও পারভেজ হোসেন (১৩)। মাত্র ২৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এই বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে ইনিংস গুছিয়ে তোলেন জাকের ও মেহেদী। ধৈর্য্য ও বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে দুজন গড়েন মূল্যবান জুটি। মেহেদী ২৫ বলে ৩৩ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে ফিরলেও, শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান জাকের। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ৫৫ রান (৪৮ বল), যাতে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়।
শেষদিকে রিশাদ হোসেন (৮) ও তানজিম সাকিব (৭) কিছু রান যোগ করলেও ইনিংস বড় হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ থামে ১৩৩ রানে।পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে দারুণ করেন সালমান মির্জা (২/১৭), আহমেদ দানিয়াল (২/২৩), ও আব্বাস আফ্রিদি (২/৩৭)।
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আজ জিততে পারলে গড়তে পারবে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস। ১৩৪ রানের লক্ষ্য খুব বড় নয়, কিন্তু মিরপুরের মন্থর উইকেটে প্রতিটি রান মূল্যবান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৩ (নাঈম ৩, পারভেজ ১৩, লিটন ৮, হৃদয় ০, জাকের ৫৫, মেহেদি ৩৩, শামীম ১, তানজিম ৭, রিশাদ ৮, শরিফুল ১, মুস্তাফিজ ০*; সালমান মির্জা ৪-১-১৭-২, আশরাফ ৩-০-২০-১, দানিয়েল ৪-০-২৩-২, নাওয়াজ ৩-০-১৯-১, সাইম ১-০-৩-০, খুশদিল ১-০-১২-০, আফ্রিদি ৪-০-৩৭-২)
Discussion about this post