গল টেস্টে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান তুলে টাইগাররা দুই ইনিংস মিলিয়ে এগিয়ে আছে ১৮৭ রানে। হাতে আছে ৭ উইকেট, বাকি রয়েছে পুরো একটি দিন। শ্রীলঙ্কার মাটিতে বিরল এক টেস্ট জয়ের সম্ভাবনায় বুক বাঁধছে এখন বাংলাদেশ শিবির!
আজ শুক্রবার দিনের শুরুতে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। আগের দিন ৩৬৮/৪ রান থেকে খেলতে নামা স্বাগতিকদের অলআউট করা হয় ৪৮৫ রানে। এই কৃতিত্বের প্রধান অংশীদার অফ স্পিনার নাঈম হাসান। দেশের বাইরে প্রথমবার বোলিং করেই ৫ উইকেট নিয়ে বাজিমাত করেছেন তিনি। অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ ও বৈচিত্র্যে ৪৩.২ ওভারে ১২১ রান খরচায় তুলে নেন ৫টি মূল্যবান উইকেট।
নাঈমের সঙ্গে দারুণ অবদান রাখেন পেসার হাসান মাহমুদ। তার শিকার হন কুসাল মেন্ডিস ও মিলান রাত্নায়া। লিটন কুমার দাসের দুইটি দুর্দান্ত ক্যাচও বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে। শেষ ১৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা, ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ১০ রানের লিড পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই হারায় এনামুল হককে (৪)। এরপর মুমিনুল হক ফেরেন ১৪ রানে। তবে ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসেন সাদমান ইসলাম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১২৬ বলে ৭৬ রান করে গড়ে তোলেন বড় ভিত। তার সঙ্গে অধিনায়ক শান্ত গড়েন ৬৮ রানের জুটি।
সাদমান আউট হওয়ার পর শান্ত ও মুশফিকুর রহিম দিন শেষ করেন অপরাজিত থেকে। শান্ত ৫৬ রানে ও মুশফিক ২২ রানে অপরাজিত থেকে গড়েছেন ৪৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
শনিবার ম্যাচের শেষ দিনে বাংলাদেশ চাইবে আরও কিছু রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলতে। জয়ের জন্য দরকার শক্ত লিড এবং সেই সঙ্গে ধারাবাহিক বোলিং। গলে এখনো সব ফল সম্ভব, তবে টেস্টে দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশ যে জয়ের দ্বারপ্রান্তেতা বলাই যায়!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯৫/১০
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৩১.২ ওভারে ৪৮৫/১০ (কামিন্দু মেন্ডিস ৮৭, ধানাঞ্জায়া ১৯, কুসাল মেন্ডিস ৫, মিলান রাত্নায়াকে ৩৯, থারিন্ডু রাত্নায়াকে ০, জয়াসুরিয়া ১১*, আসিথা ৪; হাসান ২১-৪-৭৪-৩, নাহিদ ১৯-০-৯৭-০, তাইজুল ৪১-৩-১৫৬-১, নাঈম ৪৩.২-৪-১২১-৫, মুমিনুল ৭-০-২৮-১)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৭৭/৩ (সাদমান ৭৬, এনামুল ৪, মুমিনুল ১৪, শান্ত ৫৬*, মুশফিক ২২*; আসিথা ৮-০-৩১-০, জায়াসুরিয়া ১৭-১-৪৮-১, থারিন্ডু ১৪-০-৫১-০, মিলান ৯-৪-১৩-১, ধানাঞ্জায়া ৮-০-২৭-০, কামিন্দু ১-০-২-০)।
#গল টেস্টের ৪র্থ দিন শেষে
Discussion about this post