খেলা দেখে মনে হচ্ছিল যেন হাইলাইটস চলছে! চার-ছক্কার বন্যা বসেছিল। এবারের টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গানের মতোই- চার ছক্কা হই হই বল গড়াইয়া গলে কইচার-ছক্কা হৈ হৈ বল গড়াইড়া গলে কই!
বল গড়িয়ে বাউন্ডারি লাইন পেরিয়েছে আর নেদারল্যান্ডস গড়েছে নতুন এক ইতিহাস। শুক্রবার সিলেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে হতোদ্যম করে এভাবেই ডাচরা তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের দারুণ এক জয়। তাতেই তারা উঠে গেছে আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘সুপার টেন’-এ।
সমীকরনটা এমন ছিল জিতলেই আয়ারল্যান্ড সুপার টেনে। দিনের আরেক ম্যাচে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে আরব আমিরাতকে হারিয়ে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আর ডাচদের সম্বল ছিল ২ ম্যাচ ২ পয়েন্ট। আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর তিন দলেরই পয়েন্ট দাঁড়ায় ৩ ম্যাচে ৪। তাতে নেট রানরেটেই টেক্কা মারল ডাচরা।
২০ ওভারে আয়ারল্যান্ডের করা ৪ উইকেটে ১৮৯ রান নেদারল্যান্ডস টপকে যায় ১৩.৫ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে! গ্র“পের শীর্ষস্থান দখল করতে ডাচদের জয়ের টার্গেটে পৌঁছাতে হতো ১৪.২ ওভারে। সেখানেও তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জয়!
নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ৩০টি। টি-টুয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বাধিক ২৪ ছক্কার রেকর্ড ছিল দুটি ম্যাচে। নিউজিল্যান্ড-ভারত ও অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচে। সেই রেকর্ড ভাঙল শুক্রবার। ডাচরা মেরেছে ১৯ ছক্কা। এটাও বিশ্বরেকর্ড। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে ১৮ ছক্কা মেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ডাচরা রীতিমতো ছক্কার বান বসিয়ে দিল! পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারেই নেদারল্যান্ডসের রান ১ উইকেটে ৯১! স্টিফেন মাইবার্গ মাত্র ২৩ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৬৩। হাফসেঞ্চুরি ১৭ বলে। এটি বলের হিসাবে টি-টুয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। মাইবার্গের পর বারেসি ২২ বলে করেন অপরাজিত ৪০ রান। মাত্র ১৫ বলে তার ৬ ছক্কা ও ১ চারে তোলা ৪৫ রান করেন টম কুপার।
নতুন এক ইতিহাস গড়ে সুপার টেনে ডাচ ক্রিকেট দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড : ১৮৯/৪, ২০ ওভার (পোর্টারফিল্ড ৪৭, জয়েস ২৮, পয়েন্টার ৫৭, কেভিন ৪২; জামিল ২/২৬)।
নেদারল্যান্ডস : ১৯৩/৪, ১৩.৫ ওভার (মাইবার্গ ৬৩, বারেসি ৪০*, কুপার ৪৫, বোরেন ৩১; কেভিন ২/২৯)।
ফল : নেদারল্যান্ডস ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : স্টিফেন মাইবার্গ
Discussion about this post