আবুধাবির নীল আকাশের নিচে টসের কয়েনটা ঘুরে উঠেছিল ঠিক যেমনটা আগের দুই ম্যাচে উঠেছিল- আর ফলও তেমনই। আবারও টসে জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শাহিদি, আর আগের মতোই নিয়েছেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। যেন সব কিছুই চলছে একই ছন্দে, শুধু বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা- পাল্টে যাওয়ার গল্পটা লেখা যায় কি না।
সিরিজ ইতিমধ্যেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে তারা। আশার আলো জ্বালাতে এসেছে চারটি পরিবর্তন। দলে ফিরেছেন নাইম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও পেসার হাসান মাহমুদ; নতুন মুখ হিসেবে অভিষেক হচ্ছে নাহিদ রানার। বাদ পড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও জাকের আলী অনিক। নতুন এই সংমিশ্রণই এখন ঘুরে দাঁড়ানোর ভরসা টাইগার শিবিরে।
অন্যদিকে আফগান শিবিরেও কিছুটা নড়াচড়া আছে। ইনজুরির কারণে খেলছেন না রহমত শাহ, তার জায়গায় এসেছেন ইকরাম আলিখিল। বশির আহমেদের বদলে দলে ফিরেছেন বিলাল সামি।
ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের দিনকাল এখন অস্থির। একসময় যে ফরম্যাটে তারা ছিল ধারাবাহিক, এখন সেখানে জয় মানে একরকম স্বপ্ন। র্যাঙ্কিংয়ে নেমে এসেছে ১০ নম্বরে, আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৮১ রানে পরাজয়- ব্যর্থতার ধারা টেনেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের নিচে। অথচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই আফগানদেরই ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে সেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে গেছে কোথায় যেন।
দুই দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে ১১–১০ ব্যবধানে। তবে আজকের ম্যাচে জয় পেলে আফগানিস্তান শুধু সিরিজে হোয়াইটওয়াশই নয়, জয়সংখ্যায়ও সমান হয়ে যাবে বাংলাদেশের সঙ্গে।
বাংলাদেশ একাদশ
সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, নাইম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
Discussion about this post