চট্টগ্রামে টেস্ট সিরিজ বাঁচানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। শুরুটা অবশ্য একদম ঝকঝকে হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম সেশনে দুই উইকেট তুলে নিলেও জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের রানের চাকা থামানো যায়নি।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার সকালে দুই পেসার দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতে সফল না হয়ে অষ্টম ওভারেই বল তুলে দেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। তিনি সুযোগ তৈরি করলেও, সাদমান ইসলামের হাত ফসকে যায় গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ।
শেষমেশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ এনে দেন নতুন মুখ তানজিম হাসান সাকিব। প্রথম শ্রেণির মাত্র ১৬ ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়েই টেস্টে অভিষেক হওয়া তানজিম তুলে নেন ব্রায়ান বেনেটের উইকেট। এরপর অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম ফেরান বেন কারানকে।
প্রথম সেশনে ২৮ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮৯/২। নিক ওয়েলচ ৩২ রানে অপরাজিত, সঙ্গে আছেন শন উইলিয়ামস ৬ রানে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছেন, হাঁকিয়েছেন ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা।
বাংলাদেশের স্পিনাররা- বিশেষ করে তাইজুল, মিরাজ ও নাঈম হাসান নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের চাপেই রেখেছিলেন, যদিও আরও বেশি উইকেট পাওয়ার আশা ছিল।
এই টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে এসেছে তিনটি পরিবর্তন—নাহিদ রানা, মাহমুদুল হাসান জয় ও সৈয়দ খালেদ আহমেদের বদলে দলে এসেছেন এনামুল হক বিজয়, নাঈম হাসান এবং অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব।
টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ যদি এই ম্যাচেও হার মানে, তাহলে ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারার লজ্জা এড়াতে পারবে না।
Discussion about this post