চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের সামনে ছিল ইতিহাস গড়ার সুযোগ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েই শুরু করেছিল তারা। কিন্তু শুরুর প্রতিশ্রুতিময় অবস্থান শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় ব্যাটিং বিপর্যয়ে।
উদ্বোধনী জুটিতে পল স্টারলিং ও টিম টেক্টর এগোচ্ছিলেন। দুজন মিলে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। কিন্তু টেক্টরকে ফিরিয়ে শরিফুল ইসলাম আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে প্রথম আঘাতটি হানার পরই বদলে যেতে থাকে চিত্র। পাঁচ ওভারে ৫০ রান তুললেও পরের পাঁচ ওভারে হাহাকার—মাত্র ১৬ রান যোগ করতে হারাতে হয় আরও তিন উইকেট। চাপ সামলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্টারলিংও রিশাদ হোসেনের বলে ৩৮ রানে বিদায় নেন, যা আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং ধসকে আরও গভীর করে।
একদিকে রিশাদের ঘূর্ণি, অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমানের নিখুঁত কাটার—দুই বোলারের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি আইরিশ ব্যাটাররা। মাত্র ৭ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুজনে নেন ৬ উইকেট। ফলে ১৯.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ১১৭ রানে।
বাংলাদেশও ম্যাচটিতে দলে আনে তিন পরিবর্তন। নাসুম আহমেদ, নুরুল হাসান ও তানজিম সাকিবের জায়গায় সুযোগ পান শরিফুল ইসলাম, শামীম পাটোয়ারি এবং রিশাদ হোসেন। ফের দলে এসে শরিফুল নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। শেখ মেহেদী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও যোগ করেন একটি করে উইকেট।
এখন বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১১৮ রান—সিরিজ ছিনিয়ে নেওয়ার মতোই সহজ দেখালেও চাপের ম্যাচে যে কোনো কিছুই সম্ভব। তবে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতা লিটন দাসদের সামনে সুযোগ খুলে দিয়েছে আরেকটি সিরিজ জয়ের।









Discussion about this post