আরও একবার ফরচুন বরিশালের সাফল্যের পতাকা উড়ল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে চিটাগং কিংসের স্বপ্নভঙ্গ করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হল তামিম ইকবালের দল। ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। শেষ মুহূর্তে ৬ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচের নায়ক হয়ে যান রিশাদ হোসেন।
তামিম ইকবালের দল লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৩ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখেই। বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।
মিরপুর শের-এ-বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চিটাগং কিংস। দলকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফে। বিপিএল ফাইনালে প্রথমবারের মতো একই দলের দুই ওপেনার ফিফটি হাঁকান। পাওয়ারপ্লেতে চিটাগং সংগ্রহ করে ৫৭ রান। নাফে ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন, আর ইমন অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৭৮ রানে।
তবে চিটাগংয়ের মিডল অর্ডার শেষদিকে বড় শট খেলতে ব্যর্থ হয়। গ্রাহাম ক্লার্ক ২৩ বলে ৪৪ রান করলেও রানআউটে কাটা পড়েন। বরিশালের বোলার মোহাম্মদ আলি ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন, যা চিটাগংয়ের স্কোরবোর্ডের গতি কমিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত চিটাগং ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করে।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের হয়ে ওপেনিং জুটিতে ঝড় তোলেন তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। তারা ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তামিম মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। তবে নবম ওভারে শরিফুল ইসলামের জোড়া আঘাতে তামিম (৫১) ও ডেভিড মালান (১) দ্রুত আউট হয়ে যান। হৃদয়ও ২৮ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন।
শেষদিকে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন রিশাদ হোসেন। ৬ বলে ১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি, আর চিটাগং কিংসের স্বপ্ন থেকে যায় অপূর্ণ।
Discussion about this post