ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
মাঠে ফেরার সুযোগ নেই। এখন গৃহবন্ধী জীবন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেনি। সাধারণ ছুটি শেষ হলেও ক্রিকেট কবে মাঠে ফিরবে উত্তর জানা নেই। তবে বসে থাকছেন না মুশফিকুর রহিম। নিজ ঘরটাকেই জিম বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। ঘরেই চলছে অনুশীলন।
সোমবার দেখা গেল ট্রেডমিলে দৌড়াচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও আপলোড করেন মুশফিক। যেখানে ক্যাপশনে এই তারকা ক্রিকেটার লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আজকের রানিং সেশন শেষ।’
এরইমধ্যে ভক্তরা জেনেছেন ফিটনেস ঠিক রাখতে সপ্তাহে চারদিন এক ঘন্টা করে দৌড়াচ্ছেন মুশফিক। সঙ্গে অন্য ফিটনেস ট্রেনিং তো আছেই। বেড রুম, ড্রয়িং রুম, চেয়ার, সোফা, পানির বোতলও ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ব্যবহার করছেন দুই মাস ধরে। নিজেকে ঠিক রাখতে এছাড়া অন্য কোন উপায়ও যেন নেই।
মুশফিকের, ‘প্রতিদিন দোয়া করছি যেন করোনা থেকে সবাই মুক্তি পায়। আমরা প্রত্যেকে সাধারণ জীবনে ফিরতে চাই।’
ছুটি না বাড়লেও ১৫ জুন পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল সীমিত রেখেছে সরকার। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নজরে রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দেখে-শুনে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। এরমধ্যে তাড়া নেই ক্রিকেটারদের। মুশফিক গণমাধ্যমে জানান, ‘আমাদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করে মাঠে নামলে ভালো। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে মাঠের থেকে, অনুশীলন থেকে দূরে থাকা কঠিন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বাধ্য করছে আমাদেরকে।’
প্রায় তিন মাস ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নেই। খারাপ নিশ্চয়ই লাগছে মুশির। বলেন, ‘এটা আসলে বোঝাতে পারব না। ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড এমনভাবে বন্ধ যে কোনো কিছুই করতে পারছি না। ফিটনেস লেভেল এখন দারুণ। প্রতিদিনই কাজ করছি। তবুও ব্যাট-বল নিয়ে কাজ করার একটা ব্যাপার থাকে।’
এ অবস্থায় আইসিসি মাঠে ফেরার আগে গাইডলাইন তৈরি করেছে। বেশকিছু নিয়মও পাল্টাচ্ছে। মুশফিক সেই নতুন গ্রহণ করতে তৈরি। বলেন, ‘দেখুন, ৬-৭ জন করে যদি মাঠে ফিরি এবং আইসিসির গাইডলাইন অনুসরণ করি তাহলে আমাদের ঝুঁকি কম থাকবে। আবার গ্রুপ করেও হতে পারে। যেমন এই তিন ঘন্টা একটা গ্রুপ। পরের তিন ঘন্টা ব্রেক। এরপর আরেকটি গ্রুপ। প্রত্যেক গ্রুপে ৬-৭ মেম্বার করে যদি মাঠে ফিরতে পারি তাহলে ভালো হবে।’
Discussion about this post