ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এখনো গোলাপি বলে টেস্ট খেলা হয়নি। তবে এ বছরের শুরুতে আবু জায়েদ রাহী এ বল হাতে নিয়েছিলেন। তবে তিনি নিজেও ভাবেননি এবারই দেশের সাদা পোশাকে স্বপ্নের সেই বল নিয়ে ২২ গজে ছুঁটবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে কলকাতা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে চেনা পরিবেশে দেখা যাবে তাকে। সেখানে সৌরভ ছড়াতে মুখিয়ে রয়েছেন এ পেসার।
ইডেন গার্ডেন্সে দিন-রাতের পিঙ্ক বলের টেস্টের আগে স্মৃতি হাতরে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি জানাচ্ছিলেন, তার বড় ভাই ইংল্যান্ড থেকে একটা পিঙ্ক বল নিয়ে এসেছিলেন। সেটি অবশ্য পুরাতন বল ছিল। তবে এবার নতুন বলে বল করতে তর সইছে না তার।
ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টে বল হাতে সফল ছিলেন আবু জায়েদ। নিয়েছিলেন ১০৮ রানে নেন ৪ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা শিকার করেন বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার উইকেট। এই সাফল্য বেশ অনুপ্রাণিত করছে বাংলাদেশের এ পেসারকে। কলকাতার নন্দন কাননে এবার গোলাপি বলে সৌরভ ছড়াতে চান তিনি।
রবিবার ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে গোলাপি বলে ঘাম ঝরানো অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। পিঙ্ক বলটা বুঝে নিতে চেষ্টা করলেন আবু জায়েদ রাহি। এক পর্যায়ে তিনি জানাচ্ছিলেন, ‘ভালো করে অনুশীলন করলেই বুঝতে পারব সুইং আছে কীনা। দুই দলই নতুন। যারা ভালো খেলবে তারাই রেজাল্ট পাবে। আমরা আশাবাদী।’
টেস্টে লেংথ ও লাইন একজন পেসারের বড় শক্তি। এটা যদি কেউ কাজে লাগাতে পারে, তবে ফল আসবে বলে জানান রাহী, ‘লেংথ এবং লাইন হচ্ছে টেস্ট বোলারদের জন্য বড় শক্তি। ওই জায়গায় বল করতে ব্যাটসম্যানরা ভুল করতে কিন্তু সুযোগ তৈরি হয়।’
ভারতে পা রেখে আবু জায়েদ অবশ্য শিখছেন। ইন্দোরে প্রতিপক্ষের বোলার মোহাম্মদ শামির টিপসও নিয়েছেন তিনি‘ওনারা সিনিয়র। অনেক টেস্ট খেলেছে। যেমন (মোহাম্মদ) শামি ভাই। তার সঙ্গে কালকেও কথা বলেছি আমি। যেহেতু শামি ভাইয়ের সঙ্গে আমার কিছুটা মিলে, সিমিং। দুজনই সিমিং বোলার। ওনার বল আমি অনেক সময় দেখেছি। মাঠের ভেতরে যখন ছিলাম তখন শামি ভাইয়ের বল মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। মাঝে মাঝে হাইটও মিলিয়েছি, যে আমার থেকে হাইট বেশি না সমান হয়। তখন নিজের মধ্যে এই হয়েছে যে হয়তো বা শামি ভাইয়ের মতো বোলিং করতে পারব।’
Discussion about this post