ক্রিকেটে প্রতিযোগিতা যত না মাঠে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে টাকার দুনিয়ায়। আর সেই দুনিয়ায় জায়গা করে নিতে না পারায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দল। আইসিসি রাজস্ব বণ্টনের নতুন মডেলে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ এতটাই কম যে, তা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় বাঁধা হয়ে উঠছে।
২০২৪-২০২৭ চক্রে আইসিসির রাজস্ব বণ্টনে ভারত পাচ্ছে ৩৮.৫০ শতাংশ। এরপর রয়েছে ইংল্যান্ড (৬.৮৯%), অস্ট্রেলিয়া (৬.২৫%) ও পাকিস্তান (৫.৭৫%)। অথচ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ-সবাই ৫ শতাংশের নিচে।
এই বণ্টনব্যবস্থাকে অনেকেই দেখছেন ‘অর্থনৈতিক শোষণ’ হিসেবে। কারণ, মাঠে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অনেক দায়ভার পালন করে, কিন্তু তেমন সুফল পায় না। ঘরোয়া কাঠামো, একাডেমি, হাই পারফরম্যান্স ইউনিট-সবকিছুর জন্য অর্থ দরকার। অথচ বাজেটের বড় অংশ নির্ভর করে আইসিসির অনুদানের ওপর।
সম্প্রতি এক আলোচিত পডকাস্টে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার অ্যালিস্টার কুক বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলার মূল্যবোধ কমে যাচ্ছে।’ মাইকেল ভন এটিকে আরও গভীরভাবে দেখেন-যেসব দেশ কম টাকা পায়, সেসব দেশের ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রেরণাও কমে যাচ্ছে।
আইপিএল, পিএসএল, বিগ ব্যাশ কিংবা এলপিএল-বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলো এখন খেলোয়াড়দের মূল আকর্ষণ। এই লিগগুলোয় অল্প সময়ে বিপুল অর্থ উপার্জন সম্ভব। সম্প্রতি আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরান, হাইনরিখ ক্লাসেনের মতো খেলোয়াড়রা জাতীয় দলের বদলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বেছে নিচ্ছেন।
Discussion about this post