শারজার রাতে জয় পেলেও বাংলাদেশ দলকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল শঙ্কার মেঘ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের ফিফটিতে দল যখন ১১ ওভারে ১০০ পার করে ফেলেছে, তখন মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই জিতবে জাকের আলীর দল।
কিন্তু অপ্রত্যাশিত ধস নেমে আসে ব্যাটিং অর্ডারে। ৭ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ১১৮। ম্যাচ তখনও ঝুঁকির মধ্যে। শেষ পর্যন্ত নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেনের শান্ত জুটি বাংলাদেশকে রক্ষা করে। ১৮ বলে ৩৫ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে জয় আসে ৪ উইকেটে, ৮ বল হাতে রেখেই।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী অনিক ছিলেন শান্ত সুরে। তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাস ও বাস্তবতা। তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে আরাম করে বসেছিলাম আমি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। সতীর্থরা যেভাবে খেলা শেষ করেছে, দারুণ হয়েছে।’
তবে ঘাটতির জায়গাগুলোও এড়িয়ে যাননি জাকের। আফগানিস্তান শেষ তিন ওভারে ৪২ রান তুলেছিল, যেখানে তাসকিন আহমেদ একাই দিয়েছিলেন ২২ রান। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বোলাররা নিয়মিত ভালো করছে, তবে শেষদিকে আমরা কিছু রান দিয়ে ফেলেছি। ব্যাটিং-বোলিং-দুই জায়গাতেই আমাদের উন্নতি করতে হবে। আজকের জয় আত্মবিশ্বাস দেবে, কাল আরও শক্তভাবে নামব। সিরিজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চাই।’
অধিনায়ক বারবার সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। তার চোখে ম্যাচের উত্থান-পতনই ক্রিকেটের সৌন্দর্য, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম, মাঝখানে হোঁচট খেয়েছি, কিন্তু ছেলেরা লড়াই করেছে। ক্রিকেট ফানি গেম, দিনশেষে জয়টাই আসল।’
এভাবেই নাটকীয় প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে জাকের আলীর কণ্ঠে সবচেয়ে বেশি শোনা গেল উন্নতির বার্তা আর আত্মবিশ্বাস। আজ রাতেই ফের লড়বে দুই দল। এখানে জিতলেই সিরিজ টাইগারদের!










Discussion about this post