একজন সাবেক অধিনায়ক, অন্যজন উইকেটের পেছনে নির্ভরতার প্রতীক। মাঠের লড়াই শেষে দিকে দাঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান নতুন ভূমিকায়-আন্তর্জাতিক কোচ হিসেবে। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের পথে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনিযুক্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
গণমাধ্যমে আজ রোববার আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘এখানে বলা উচিত কিনা জানি না। আমি বিসিবিতে জয়েন করার আগেই আমার সঙ্গে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ যোগাযোগ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক কোচ হতে চায়। এই ট্রেনিং এডুকেশন প্রোগ্রামগুলো আমরা ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে রান করব ইনশাল্লাহ।’
কোচিংয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সাবেকদের অগ্রাধিকার থাকছে। সাবেক ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে সম্পদ হিসেবেই দেখছে বর্তমান বিসিবি নেতৃত্ব। বুলবুল বললেন, ‘আমরা শুধু খেলোয়াড় নয়, কোচ তৈরিতেও সিরিয়াস। খেলা শেষে যাতে খেলোয়াড়েরা কোচিংয়ে পেশাদারভাবে যুক্ত হতে পারেন, সেজন্য বিসিবি প্রয়োজনীয় কাঠামো গড়ে তুলছে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে বিসিবির বড় লক্ষ্য-ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ। মাঠ তৈরি, সুযোগ বৃদ্ধি, স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা-এই কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কোচ তৈরির একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনাও।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সম্মানিত উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের ডেকেছেন এখানে। তার যে উদার চিন্তাভাবনা আমাকে অভিভূত করেছে কয়েকটি কারণে। আমাদের এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণ করা এবং তার মতের সঙ্গে আমরা ১০০ শতাংশ একমত। ফ্যাসিলিটি ডেভলপমেন্টের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট যেমন শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে নিয়ে যে ইভেন্টগুলো চালু করতে বলেছেন তিনি। এটা আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। আমরা একটা চার্টার তৈরি করেছি সেটার সঙ্গে ১০০ ভাগ মিলে গিয়েছে।’
বুলবুল আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় স্কুল ক্রিকেট, বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়ন, ও সেইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে কোচদের বিকাশ একসঙ্গে ভাবা হয়েছে। এটা শুধু খেলোয়াড় গড়বে না, গড়বে ভবিষ্যতের ক্রিকেট চিন্তাবিদ।’
মুশফিক-রিয়াদের মতো হাই-প্রোফাইল ক্রিকেটারদের কোচিংয়ে আসা মানে শুধু অভিজ্ঞতার বিনিয়োগ নয়-এটা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ।
Discussion about this post