রীতিমতো বিস্ময়কর! ঠিক তাই, যেখানে প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশের পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ, সেখানেই কীনা সিরিজ হারল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে টানা দুই ম্যাচে হার। ১০ আগস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ। যেখানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর লড়াই তামিম ইকবালের দলের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগারদের ৩০৩ রান টপকে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপরের ম্যাচে রোববার ২৯১ রান তুলে জয়। দুটোতেই সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরি। তাতেই সর্বনাশ! দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল একাধিক ফিফটি। কিন্তু কোনো সেঞ্চুরি নেই। কিন্তু জিম্বাবুয়ের সেঞ্চুরি চারটি। এটাই বড় ব্যবধান গড়ে দিয়েছে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
হারারেতে বিপর্যয়ের পর তামিম বললেন, ‘দেখুন, পার্থক্য হচ্ছে জিম্বাবুয়ের দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি আছে। বাংলাদেশের একটিও নেই। আমরা সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছিলাম। আমাদের অনেকেই ভালো শুরু পেয়েছে কিন্তু কেউ বড় করতে পারিনি। উইকেট শুরু থেকেই ভালো ছিল। স্পিনারদের বিপক্ষেও ব্যাটিং করা কঠিন ছিল না।’
সিরিজ জেতা দলকে অভিনন্দনও জানালেন তামিম, ‘জিম্বাবুয়েকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত। তারা ভালো দল বলেই সিরিজ জিতেছে। আমাদের নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে হবে। আমরা এখনও নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। এ জন্যই আজ এই অবস্থানে।’
একইসঙ্গে হতাশা ছিল কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠেও। এই লড়াইয়ের আগে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে নিয়ে কী আত্মতুষ্ঠ ছিল বাংলাদেশের? যেমনটা বলছিলেন রাসেল, ‘দেখুন, আত্মতুষ্টির কোনো ব্যাপার ছিল না দলে। কারণ, আমরা জানতাম নিজেদের কন্ডিশনে ওরা কতটা বিপজ্জনক। গত বছর আমরা ৩-০তে জিতলেও দুটি ম্যাচে জোর লড়াই হয়েছিল। আত্মতুষ্টি তাই কখনোই আসেনি আমাদের।’
একইসঙ্গে রাসেল ডমিঙ্গো প্রশংশা করলেন সিকান্দার রাজার। যার কাছেই হেরেছে দল, ‘জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে, বিশেষ করে সিকান্দার রাজাকে। অসাধারণরকম ভালো খেলছে সে। চাপের মধ্যে দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি করে। রাজা ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে। চারটি শতরান হয়েছে তাদের। ওই ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা আমাদের উড়িয়ে দিয়েছেন এই দুটি ম্যাচে।’
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ১১৭ রানে অপরাজিত সিকান্দার রাজা। তার ১২৭ বলের দারুণ ইনিংসটিতে ছিল চারটি ছক্কা ও আটটি চার।
Discussion about this post