ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ক্রিকেট ছাড়াই লম্বা সময় কেটে গেল তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারদের। সময়ের হিসাবে সাড়ে চার মাস। এই সময়টাতে বেশি কেটেছে নিজ গৃহে। ঈদের আগে অবশ্য ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি মিলেছে। এরমধ্যে অবশ্য জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কয়েকটি অনলাইন সেশন হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। বুধবার অবশ্য একটি বিশেষ সেশনের অভিজ্ঞতা হলো তামিম-সৌম্যদের। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেনের টিপস পেলেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, রায়ান কুকরাও ছিলেন সেই সেশনে। অবশ্য এটি আয়োজন করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে দলের বাইরে থাকা বা উঠতি ক্রিকেটার মিলিয়ে ৩০-৩২ জন ক্রিকেটার আর কোচিং স্টাফরা ছিলেন এই সেশনে।
১০১ টেস্ট ও ১৮৫ ওয়ানডে খেলা ওপেনার কারস্টেন কোচ হিসেবেও সফল। কোচ হিসেবে পেয়েছেন ইর্ষনীয় সাফল্য। তার কোচিংয়েই ভারত প্রথমবার টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে ২০১০ সালে। এরপর জেতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কারস্টেন প্রধান কোচ থাকার সময় তার সহকারী ছিলেন ডমিঙ্গো। তাদের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। আবার বিসিবির সঙ্গেও তার সম্পর্কটা বেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেও কাজ করেছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ কারস্টেন। সাবেক বাংলাদেশি কোচ স্টিভ রোডস বিসিবির চাকরি পান কারস্টেনের কথায়। বিসিবির পরামর্শক পদে কাজ করেছেন কারস্টেন।
ক্রিকেটার ও কোচ দুই ভূমিকাতেই দারুণ সফল একজনকে কি আলোচনা হলো তা অবশ্য জানা যায়নি। কেউ বিস্তারিত কিছু বলেন নি। তবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানালেন, ‘এর আগেও কয়েকটি অনলাইন সেশনের আয়োজন করেছি। আমাদের কোচিং স্টাফরা ছিল তখন। এবার কারস্টেনের মতো অভিজ্ঞ ও নামী একজনকে পাওয়া ছেলেদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। সবাই কিছুটা হলেও জানতে ও শিখতে পেরেছে, যা তাদের ভবিষ্যতে কাজে লাগবে তাদের।’
Discussion about this post