ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাস প্রমাণ করলো গোলা-বারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি’। কিন্তু হাঠৎ করে কেন এমন মনে হলো তার?
মাশরাফির কথাটির অর্থ বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই লুকিয়ে আছে। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার সঙ্গে সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলি করোনাভাইরাসের কালো থাবা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারছে না। ভাইরাসটি মহামারী আকার ধারণ করেছে উন্নত প্রায় সব দেশেই। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশেই প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন অগণিত মানুষ। বাংলাদেশেও এর সংক্রামণ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে মৃত আর আক্রান্তের সংখ্যাও। যদিও এসব দেশগুলোই প্রতিবছর যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যবহার করে থাকা অসংখ্য গোলা-বারুদ কামানসহ অত্যাধুনিক সব অস্ত্র। কিন্তু সেসবের কিছুই করোনা মোকাবিলায় কাজে আসছে না। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডর রুজভেল্ট পর্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে করোনার থাবায়। শুধু আমেরিকাই কেন, পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন কোন দেশই তাদের এই অশুভ শক্তিগুলি ব্যবহার করে করোনার বিপক্ষে লড়তে পারছে না।
তবে মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপায় মাত্র একটিই- সেটি হলো সবাই মিলে সচেতন থাকা এবং একে অপরের জন্য বাঁচা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থেকেই আসে দায়িত্ববোধ। সেই দায়িত্ব থেকে চিকিৎসক-নার্সরা জীবন বাজি রেখে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। মাশরাফি তাই মনে করেন, ‘করোনাভাইরাস প্রমাণ করলো গোলা-বারুদের চেয়ে ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি।’
আপাতত ঘরেই অবস্থান করছেন মাশরাফি। পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন। তবে তার মন পড়ে রয়েছে অসহায় মানুষদের পাশে। যে কারণে প্রতিনিয়তই তাদের খোঁজখবর রাখছেন সাবেক এ অধিনায়ক। শুধু তা-ই নয় ক্রিকেটারদের তহবিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আবার সংসদ সদস্য হিসেব নিজের ফাউন্ডেশন থেকেও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
Discussion about this post