করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এলোমেলো করে দিচ্ছে গোটা দেশ। আক্রান্ত সংক্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ১৮ দফা সতর্কবার্তা দিয়েছে সরকার। তার মধ্যে করোনার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত গেল জাতীয় ক্রিকেট লিগ।
জাতীয় লিগের ভেন্যু কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করায় টুর্নামেন্ট আপাতত স্থগিত করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের খেলা শুরু হবে।
এরমধ্যে প্রথম শ্রেণির আসর জাতীয় লিগে খেলা হয়েছে দুই রাউন্ড। এ অবস্থায় জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড থেকে দুই স্তরের আট দলের খেলা বিকেএসপি ও কক্সবাজারে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। কিন্তু কক্সবাজারে চলাচলে সীমাবদ্ধতার কারণে থমকে গেল লিগ। কক্সবাজারে যান চলাচল বন্ধ। এ কারণেই খেলা স্থগিত করতে হয়েছে। দুই স্তরের খেলা চালাতে তো অন্তত দুটি ভেন্যু লাগে। বিকেএসপিতে খেলানো সম্ভব নয়-বলেই হার মেনেছেন আয়োজকরা।
ছয় রাউন্ডের এ টুর্নামেন্ট আপাতত স্থগিত। কিন্তু করোনার মধ্যে টুর্নামেন্ট হওয়ায় ৮ দলের একাধিক ক্রিকেটার সংক্রমিত হয়েছেন। সিলেট বিভাগীয় দলের একাদশ তৈরি করতেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এমনকি ম্যাচ অফিশিয়াল সহ কোচিং স্টাফের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের দুটি ম্যাচের শেষ হয়েছে। কক্সবাজারের দুই মাঠে শেষ দিনের খেলা বাকি দুটি ম্যাচের। চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা মহানগরের ম্যাচটি এগোচ্ছে ড্রর পথে। সিলেট বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচটিতেও ড্রয়ের ইঙ্গিত।
এর মধ্যে খুলনা বিভাগকে হারিয়েছে রংপুর বিভাগ। বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রিকেট লিগে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ১১৭ রান। ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পা রাখে উত্তরবঙ্গের দলটি।
Discussion about this post