ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অমিত সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন সাব্বির রহমান। ধীরে ধীরে এ ডানহাতি নিজেকে একজন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠাও করে ছিলেন। কিন্তু গত বছরটি তার কেটেছিল হতাশাজনক। যে কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। শুধু তাই নয়, বাদ পড়েছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। ব্যাপারগুলো নিয়ে এ মুহূর্তে ভাবছেন তিনি।
করোনার কারণে আপাতত স্থবির মাঠের ক্রিকেট। যে কারণে রাজশাহীতেই অবস্থান করছেন সাব্বির। সেখানে বসেই অতীতের ভুলগুলো নিয়ে বেশি করে ভাবছেন তিনি, ‘অবশ্যই, অতীত নিয়ে ভাবছি। এই সময়ে নিজেকে নিয়ে ভাবার সুযোগ পেয়েছি। কেউ বাদ পড়লে তার মর্মটা আরও ভালো করে বুঝা যায়। আমি কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছি, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছি-এই মুহূর্তে আমি অনুভব করতে পারছি, কোথায় কোথায় আমার ভুল ছিল। সেইসব নিয়ে আমি কাজ করছি, চিন্তা করছি। ’
করোনাকালে বাকি সব কিছু বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে উন্নতির সুযোগ দেখছেন সাব্বির। আশা করছেন হয়তো সুদিন দেখতে পাবেন সামনে, ‘মানুষের জীবনটা ভালো-খারাপ সময় মিলেই যায়। খারাপ সময় আসতে যেমন সময় লাগে না, আবার ভালো সময় আসতেও সময় লাগে না। আমার কাছে মনে হয় এই সময়টা (করোনাকাল) আমার কাছে শিক্ষণীয়। যেটা আমি কাজে লাগাচ্ছি পরিশ্রম করে। আশা করি সামনে শক্তভাবে ফিরে আসতে পারবো।’
সাব্বির এই সময়টা বাসায় বসে নষ্ট করছেন না। ছাদে বসেই শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি খসিয়ে ফেলতে অনুশীলন করছেন। নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টাই করছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বাসায় বসে থেকে নিজেকে তৈরি করছি। মানসিকভাবে বলেন, শারীরিকভাবে- সবভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছি। যেন করোনোর প্রভাব কেটে গেলেই দ্রুত মাঠে নামতে পারি। ফিটনেসের যেন ঘাটতি না থাকে। তাই ছাদে বসে কাজগুলো করছি।’
করোনাকালে পরিবারের সান্নিধ্যেই সময় কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। সাব্বিরও রাজশাহীতে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন, ‘আমরা যেমন ব্যস্ততার মধ্যে থাকি, তাতে কিন্তু পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারি না। এক অর্থে করোনার ইতিবাচক দিক হচ্ছে আমরা পরিবারকে পুরোপুরি সময় দিতে পারছি। ফুটবলসহ কিছু গেমস খেলি, আড্ডা দেই, ছাদে সময় কাটাই। বউ রান্না করছে, রান্না ঘরে গিয়ে তাকে সাহায্য করছি।’
অলস সময়ের মধ্যে বেশ বিরক্তও হচ্ছেন সাব্বির। তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন মাঠে ফেরার,‘ক্রিকেট খেলতে পারছি না-এটা খুব কষ্টের। ক্রিকেটের বাইরে থাকাটা আমাদের জন্য কষ্টকর। একটা মানুষ এক মাস ঘরবন্দি হয়ে থাকতে পারে, দুই মাস/তিন মাস ঘরবন্দি হয়ে থাকাটা কঠিন। মাঠের মানুষ মাঠে না থাকাটা ভীষণ কষ্টের। ক্রিকেটতো খুবই মিস করছি। ঘরে থাকতে কষ্ট হচ্ছে, আবার চাইলেও বাসার বাইরে বের হতে পারছি না।’
বিরক্ত হলেও সাব্বির বুঝতে পারছেন ঘরে থাকার কোন বিকল্প নেই। তাই সবার উদ্দেশ্যে একই বার্তায় দিয়েছেন তিনি,‘এই মুহূর্তে আসলে আমাদের করার কিছুই নেই। নিজেকে ও দেশকে বাঁচাতে হলে আমাদের ঘরে থাকার বিকল্প নেই। শত কষ্ট হলেও এই মুহূর্তে আমাদের ঘরে থাকা জরুরি। বেঁচে থাকলে আবারও ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবো।’
Discussion about this post