ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে থমকে গিয়েছিল সবকিছু। অলিখিত লকডাউনে ঘরবন্ধী হয়ে ছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। তখন অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ত্রাণ নিয়ে ছুটে যান আর্ত মানুষের দরজায়। এভাবেই একসময় করোনায় আক্রান্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। যিনি আবার ক্রিকেট ভক্তদের কাছে নাগিন অপু নামে পরিচিত। যিনি ক্রিকেট মাঠে নাগিন ড্যান্সের উন্মাদনা ছড়িয়েছিলেন।
জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার পেলেন সুখবর। তিনি এখন করোনা মুক্ত। সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনাভাইরাসে। হার মানেন নি তিনি ও তার পরিবার। মা-বাবাসহ নাজমুল বুধবার পেলেন সুখবর। তারা করোনাজয়ী। সর্বশেষ টেস্টের ফল নেগেটিভ এসেছে।
অপু জানান, ‘দেখুন বাবা আর মাকে নিয়েই আমার বেশি দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু আল্লাহ’র রহমতে আমরা সবাই এখন সুস্থ হয়ে উঠেছি। এটা ঠিক শারীরিক দুর্বলতা আছে। এখন সেটাই কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি।’
নারায়ণগঞ্জের এই ক্রিকেটার করোনা মুক্ত হয়ে প্লাজমা দিয়ে ফের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। এই বাঁহাতি এই স্পিনার জানান, ‘দেখুন, সামনে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এখন প্রথম কাজ প্লাজমা দেওয়া। আমার প্লাজমায় যদি দু-একজন সুস্থ হয় এটিই হবে বড় পাওয়া।’
৫ ওয়ানডে ও ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টেুয়েন্টি ও ১টি টেস্ট খেলা নাজমুল ইসলাম অপু আরও জানালেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হলে খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করতে হবে। করোনার সময়ে কোনো খাবারের স্বাদ নাকে লাগে না। খেতেও ভালো না। তখন জোর করে হলেও খেতে হবে। খাওয়া কমানো যাবে না। নিয়ম করে লেবু, মধু আর কালিজিরা খেতে হবে।’
২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার অপুর পাশে ছিলেন অনেকেই। তিনি চানান, ‘এই সময়টাতে অনেকেই আমাকে সাহস যুগিয়েছেন। মুশফিক ভাই প্রতিদিনই ফোন করেছেন। তামিম ভাই, সৌরভ (মমিনুল হক) ফোনে খোঁজ নিয়েছে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আমাকে বাড়তি শক্তি ও সাহস দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা-আল্লাহ সহায় হয়েছেন বলেই আজ সুস্থ হয়ে উঠেছি।’
শরীরটা আরেকটু ঠিক হলে ফের অসহায়দের পাশে থাকতে চান অপু।
Discussion about this post