হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডে মুসলিম বিদ্বেষীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেই এক সন্ত্রাসী মসজিদ ফেরত মানুষদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন। যেখানে একজন মারাও গিয়েছিলেন। ঠিক একই আতঙ্কে হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডের কাউন্টি রেখে দেশে ফিরলেন তামিম ইকবাল। এমন তথ্যই মিলছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। জানা গেছে সোমবার সপরিবার রাতের খাবার খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসার পথে ছিলেন তামিম। তখনই কয়েকজন তাঁদের ধাওয়া করে। দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন তারা। তারপরই আতঙ্কিত তামিম লন্ডন থেকে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে দেশের পথে উড়াল দেন।
কাউন্টি দল এসেক্সের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে আট থেকে নয়টি ম্যাচ খেলতে গিয়ে এক ম্যাচ শেষেই ফিরলেন তিনি। দিন কয়েক আগেই স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ও পুত্র আরহাম ইকবাল খানকে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু আতঙ্কের কারণে ফিরে এলেন চটজলদি!
দেশের একটি দৈনিকের সঙ্গে এক বোর্ড কর্তা জানান, ‘তামিম ও তার পরিবারকে ধাওয়া করেছিল কয়েকজন লোক। দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ায় তাদের কিছু হয়নি। এ ঘটনার পরই তামিম দেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।’ ক্রমণকারীদের হাতে অ্যাসিড ছিল বলে শোনা গেছে। তিনি আরো বলেন ‘তামিমের স্ত্রী মাথায় হিজাব পরেন। হয়তো সে কারণেই তাঁদের টার্গেট করা হয়েছে।’
তবে তামিম ‘হেইট ক্রাইমের’প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেছেন। তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুকে লিখেন, ‘আমি আমার সব ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীকে জানাতে চাই যে, এসেক্সে আমার মৌসুম আগেই শেষ করে দেশে ফিরছি ব্যক্তিগত কারণে। কিছু সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট করেছে যে আমরা হেইট ক্রাইমের শিকর হয়েছি। এটি সত্যি নয়।’
ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আবারো ইংল্যান্ডে যেতে চান বলে জানালেন তামিম। লিখেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য আমার প্রিয় জায়গাগুলির একটি ইংল্যান্ড এবং আগে চলে যেতে চাওয়ার পরও এসেক্স আমার প্রতি ছিল দারুণ সৌজন্যময়। সব ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের ভাবনা ও নানা বার্তার জন্য। ভবিষ্যতেও ইংল্যান্ডে খেলার অপেক্ষায় থাকব আমি।’
Discussion about this post