ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
হঠাৎ করেই যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হল না। এরপর ফ্লপ শ্রীলঙ্কা সফরেও। টানা তিন হারে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। টাইগারদের ঠিক চেনাই গেল না। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জন্য বলির পাঠা বানানো হয়েছিল কোচ স্টিভ রোডসকে। এই টাইগার ভক্তদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এই ব্যর্থতার দায় কার?
বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ১২২ রানে। ২৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩৬ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। যে কারণে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর গত সাড়ে চার বছরে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার কাছে ৩ ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়েছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের।
এ ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বলেন, ‘আমার নিজের পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে দলের পারফরম্যান্স, নেতিবাচক দিক অনেক আছে। আমাদের শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে এবং ঘুরে দাঁড়াতে হবে। প্রথম দিন থেকে আমি বলছি, গুরুত্বপূর্ণ হবে দায়িত্ব নেওয়া। আমি ১২ বছর ধরে খেলছি, অন্যরাও দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। হতাশার ব্যাপার হলো, দলের প্রয়োজনের সময় আমরা দায়িত্ব নিতে পারছি না।’
সিরিজ চলার সময়ই ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ক্যাসিনোতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ চলাকালে অস্ট্রেলিয়ায়ও ক্যাসিনোতে গিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন সুজন। সে বছর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথাও স্বীকার করছিলেন তিনি। কিন্তু জুয়া খেলার কথা অস্বীকার করেন। অথচ সেই বিশ্বকাপে অনুমতিহীন মাঝরাতে হোটেলে ফেরায় দল থেকে বাদ দেয়াই নয়, অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয় পেসার আল-আমিন হোসেনকে। বিসিবি অবশ্য তার এই দিকটে তেমন গুরুত্বপূর্ন মনে করেনি। শুধু তাই লঙ্কা সফরে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কও সুজনের পক্ষেই কথা বলেন, ‘তাঁকে দায় দেওয়া ঠিক হবে না। বরং যে এগারোজন আমরা মাঠে ছিলাম তারা নিজেদের কাজটা করতে পারিনি বলেই হেরেছি।’
সিরিজ চলাকালে ভারপ্রাপ্ত কোচ শৃংখলাভেঙে ক্যাসিনোতে যান, তাহলে তো দলের উপর প্রভাব পড়বেই। লঙ্কা সফরে সেটাই হয়তো হয়েছে।
গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু কোন পারফরম্যান্স রিপোর্ট বিসিবির কাছে না দিয়েই শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে দেশ ছেড়েন তিনি। যদিও এই পারফর্মেন্স রিপোর্ট জমা না দেওয়ার তালিকায় আরও আছেন হেড অব ডেলিগেশন আকরাম খান এবং বিদায়ী কোচ স্টিভ রোডস। বিশ্বকাপের ব্যার্থতার দায় একরকম সবটাই প্রধান কোচ স্টিভ রোর্ডসের মাথায় চাপিয়ে তাকে তড়িঘড়ি করে বিদায় দেয় দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
Discussion about this post