জয়ের মঞ্চ তৈরিই ছিল। কিন্তু এতোটা সহজে সেটা হাতে ধরা দেবে ভাবেনি নিশ্চয়ই পাকিস্তান। তবে ৫ দিন দুর্দান্ত খেলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল তারা। দুবাই টেস্টে ২২১ রানে তারা হারাল অস্ট্রেলিয়াকে।
তাতেই দুই টেস্টের সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
জয়ের জন্য রেকর্ড ৪৩৮ রান লক্ষ্য ছিল অজিদের। কিন্তু রোববার জুলফিকার বাবর আর ইয়াসির শাহর স্পিন আক্রমনের সামনে একেবারেই ব্যর্থ! দল ২য় ইনিংসে অলআউট ২১৬ রানে। জুলফিকার ৭৪ রানে ৫ এবং ইয়াসির ৫০ রানে ৪ উইকেট নেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে পাকিস্তান ২য় ইনিংসে ২৮৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন। দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড গড়েন ইউনিস খান।
৩০ অক্টোবর আবুধাবিতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ১ম ইনিংসে ৪৫৪/১০ ও ২য় ইনিংসে ২৮৬/২ ডিক্লে.
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ৩০৩/১০ ও ২য় ইনিংসে ২১৬/১০ (রজার্স ৪৩, স্মিথ ৫৫, জনসন ৬১; জুলফিকার ৫/৭৪, ইয়াসির ৪/৫০)।
ফল: পাকিস্তান ২২১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইউনিস খান
#############################
জয়ের সুবাস পাচ্ছে পাকিস্তান
দুবাই টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই ড্রাইভিং সিটে আছে পাকিস্তান। চতুর্থ দিন শেষেও একই দৃশ্যপট। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয় দেখছে তারা। শেষ দিন মিসবাহ উল হকের দলের চাই ৬ উইকেট। আর শেষ দিনে জিততে হলে আরো ৩৭৯ রান করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। মানে গড়তে হবে রেকর্ড।
সফরকারীদের সামনে প্রথমে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৪৩৮ রান। এরপর দিনশেষে তারা তুলেছে ৪ উইকেটে ৫৯ রান। মানে মহা বিপর্যয়ে!
পাকিস্তানের হয়ে ফের রান পেলেন ইউনিস খান। সঙ্গে আহমেদ শেহজাদও করলেন সেঞ্চুরি। এই শতরান করে অসাধারন এক রেকর্ড গড়া হল ইউনিসের। ১৯৭৪ সালে গ্লেন টার্নারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক টেস্টের দুই ইনিংসে শতরান করা প্রথম ব্যাটসম্যান তিনি।
শেহজাদ ১৩১ রান করে আউট হন। ইউনিস অপরাজিত ১০৩ রানে। ২ উইকেটে ২৮৬ রান তুলে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ৪৫৪ ও ২৮৬/২ ডিক্লে. (ইউনিস ১০৩ *, শেহজাদ ১৩১, ও কি’ফি ২/১১২। অস্ট্রেলিয়া: ৩০৩ ও ৫৯/৪ (বাবর ২/২২, ইয়াসির ২/৮)।
#############################
বড় লিড পেল পাকিস্তান
আগের দিন দারুণ জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শুক্রবার সব এলোমেলো হয়ে গেল। আগের দিনের দাপট গেল মিলিয়ে। অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংসে অলআউট ৩০৩ রানে। আর তাতেই দুবাই টেস্টে বড় লিড পেল পাকিস্তান। ১৫১ রানের লিড মিসবাহ-উল-হকের দল।
এর আগে পাকিস্তান ১ম ইনিংসে তুলেছিল ৪৫৪ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনশেষে পাকিস্তান বিনা উইকেটে তুলেছে ৩৮ রান। তারা এগিয়ে আছে ১৮৯ রানে।
ওপেনিং জুটিতে অজিদের উঠল ১২৮ রান। কিন্তু পরের ১৭৫ রানে ১০ উইকেটের পতন! বিস্ময়কর! অনভিজ্ঞ তিন বোলার রাহাত আলী, জুলফিকার বাবর এবং ইয়াসির শাহকে খেলতে পারলেন অজি ব্যাটসম্যানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৪৫৪/১০ ও ২য় ইনিংস : ৩৮/০ (শেহজাদ ২২ ব্যাটিং, আজহার ব্যাটিং ১৬)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৩০৩/১০ (ওয়ার্নার ১৩৩, জনসন ৩৭, রজার্স ৩৮, ইয়াসির ৩/৬৬, বাবর ২/৮১, রাহাত ২/৫৫)।
#####################
জবাব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়াও
পাকিস্তানের পর এবার দুবাই টেস্টে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া। বেশ জবাব দিচ্ছে তারা। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বৃহস্পতিবার বিনা উইকেট তারা করেছে ১১৩ রান। এর আগে ইউনুস খানের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন সরফরাজ আহমেদ। তাতেই পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৪৫৪ রানে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ নম্বরে নেমেও দারুণ ব্যাট করলেন সরফরাজ আহমেদ। ঝড়ো গতিতে তুললেন শতরান। ১০৫ বলে করেন ১০৯ রান। এর আগে ইউনুস তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের ২৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন অজি পেসার মিচেল জনসন।
এরপর ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্রিস রজার্স দারুণ ব্যাট করছেন। যাকে বলে লাগসই জবাব। বৃহস্পতিবার দিনশেষে ওয়ার্নার ৭৫ ও রজার্স ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংসে: ৪৫৪/১০ (আজহার ৫৩, ইউনুস ১০৬, মিসবাহ ৬৯, শফিক ৮৯, সরফরাজ ১০৯; জনসন ৩/৩৯, ও’কেফি ২/১০৭, লিয়ন ২/১৪৮)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংসে: ১১৩/০ (রজার্স ৩১*, ওয়ার্নার ৭৫*)।
Discussion about this post