ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ফিরেছে অনুশীলনে। তাই আগামী জুলাইয়ে দেশটিতে সফরে যেতে নড়েচড়ে বসছে বাংলাদেশ। তবে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। যা নাকি জানা যাবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী আগামী মাসেই বাংলাদেশ দলের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা। কিন্তু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, পরিস্থিতির কারণে সিরিজটি জুলাই থেকে পিছিয়ে চলে যেতে পারে সেপ্টেম্বরে। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড নাকি সে রকমই প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবিকে। এ ছাড়া বাড়তি রাজস্বের আশায় শ্রীলঙ্কা ৩ টেস্টের সিরিজের পরিবর্তে ২টি টেস্ট ও ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে চায়, এমন গুঞ্জনও আছে। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী উড়িয়ে দিয়েছেন সব গুঞ্জন, ‘জুলাই মাসে সিরিজটি আয়োজন করা যায় কি না, শ্রীলঙ্কার বোর্ডের সঙ্গে এখনো সেটা নিয়েই আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা এর সুবিধা–অসুবিধাগুলো বোঝার চেষ্টা করছি। তবে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত যা–ই হোক, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেটি চূড়ান্ত হবে।’
শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিসিবির কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় বসবেন বলে জানান নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। যদিও কিছু প্রাক্–আলোচনা এর মধ্যেই হয়ে গেছে।
এরআগে করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের শেষ ভাগ এবং আয়ারল্যান্ড সফর আগেই স্থগিত হয়েছে। জুন মাসে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া দলের। দুই বোর্ডের সম্মতিতে স্থগিত সেই সিরিজও। এখন ঝুলে আছে শ্রীলঙ্কা সফর।
করোনাভাইরাসজনিত অচলাবস্থা থেকে খেলায় ফেরার তিনটি উপায় দেখে বিসিবি। প্রথমত স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়িয়ে, দ্বিতীয়ত ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে অথবা করোনায় অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত কোনো দেশে সফর করে। তিনটির মধ্যে শুরুতে নিরাপদ কোনো দেশে গিয়ে সিরিজ খেলাটাকেই ঠিক মনে করেন কেউ কেউ।
শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আলাদা রাখার পরিকল্পনা করে রেখেছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের একটা জৈব নিরাপদ জায়গায় রাখা হবে। তা না হলে আমরা যে দেশে সফর করব, তারাও মানবে না।’
Discussion about this post