ফাইনাল মানেই বাংলাদেশের জন্য সোনার হরিণ। সর্বশেষ চারবার শিরোপার সুবাস পেয়েও জেতা হয়নি। আরো একবার ট্রফির আরো কাছে টাইগাররা। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিদহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় দিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়। কিন্তু ফাইনাল তো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য সোনার হরিণ! সেই ২০১০ সালে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। তখন জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয় টাইগাররা। এর দুই বছর পর এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হারে। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ।
পুরনো সেই দুঃস্বপ্ন যাতে সঙ্গী না হয় এজন্য সতর্ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুনআমরা চেষ্টা করছি যতটা নির্ভার থাকা যায়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো করার জন্য ফ্রি থাকাটা খুবই জরুরি। চাপ হিসেবে চিন্তা করলেই চাপ; আর না চিন্তা করলে চাপ না। আমি নিশ্চিত সবাই অনেক রিল্যাক্স আছে।’ এই অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘কালকের ম্যাচ পর্যন্ত যদি এটা ধরে রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আশা করি, কেউ কোনো রকম চাপ নিবে না। শুধু খেলার দিকেই মনোযোগ দেবে এবং প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখার চেষ্টা করবে। আর সেটা হলে সাফল্য আসবেই।’
আগের ফাইনাল ব্যর্থতা নিয়ে সাকিব এবার জানালেন, ‘ আমাদের জন্য এটি আরেকটি সুযোগ। ভারত যদিও খুব ভালো দল। যেভাবে খেলেছে, তাতে ওরাই ফেভারিট। ভালো ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য থাকবে।’
ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ খেলে দল হেরেছে ৭টিতেই। এই টুর্নামেন্টেও দুবার হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
তবে চাপে আছে ভারতও। দলের ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক বলেন, ‘ বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো ম্যাচই কঠিন, ভারত একটা ক্রিকেটপাগল জাতি। আমরা প্রথম সারির দল খেলাই অথবা দ্বিতীয় সারির দল, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই জিতলে, “ওহ, তোমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছ।” কিন্তু হারলেই, “তোমরা বাংলাদেশের কাছে হেরেছ। কী করেছ তোমরা?” আমি নিশ্চিত এবারও তা-ই ঘটবে।’
কে জিতবে সময়ই বলে দেবে। তবে ফাইনালের আগে কাগজ-কলমে ফেভারিট ভারতই। কিন্তু টি-টুয়েন্টিতে আগাম হিসেব দিয়ে কিছু হয়না। প্রেমাদাসায় রোববার স্নায়ু যুদ্ধে যারা এগিয়ে থাকবে ম্যাচটা হবে তাদেরই। বাংলাদেশের জয়ের দেখার অপেক্ষায় থাকবেন ক্রিকেট ভক্তরা।
Discussion about this post