টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিতে যাচ্ছিল তামিমের দল সেন্ট লুসিয়া জুকস। টানা তিন ম্যাচ হার। কিন্তু অ্যান্টিগা হক্সবিলকে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার আশা জাগিয়ে রাখল সেন্ট লুসিয়া। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখে তামিমের সেন্ট লুসিয়া। ৬ খেলা শেষে ৪ পয়েন্ট তাদের।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল সেন্ট লুসিয়া জুকস। বেশ মেরে খেলছিলেন অ্যান্ড্রি ফ্লেচার এবং তামিম ইকবাল। তবে শুরুর ছন্দটা পরবর্তীতে ধরে রাখতে পারেননি তামিম। চারটি চার মারলেও ১৯ বলে ২০ রান করে তামিমকে ফিরে যেতে হয়েছে অ্যান্টিগার অধিনায়ক মারলন স্যামুয়েলসের বলে। তামিমের বিদায়ের পরও পেছনে তাকাতে হয়নি সেন্ট লুসিয়াকে। অ্যান্ড্রি ফ্লেচারের ৫৩ বলে ৭৬, ডেভন স্মিথের ২৯ ও অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির ২০ বলে ৩৫ রানের ওপর ভর করে ৪ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে তুলে সেন্ট লুসিয়া। অ্যান্টিগার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন স্যামুয়েলস ও রাহকিম কর্নওয়াল।
জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে অ্যান্টিগা ঝড়ের বেগে শুরু করেছিল। কিন্তু ৫ বলে স্যামুয়েলস ১২ এবং ৬ বলে পাওয়েল ১২ করে ফিরে যাওয়ার পর রানের গতি বেশ কমে আসে। এক পর্যায়ে ২ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তোলে অ্যান্টিগা। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বৃষ্টি। আবারও মাঠে গড়ায় খেলা। কিন্তু এরপর মাত্র ৪ বল খেলার সুযোগ পায় অ্যান্টিগা। আর স্কোর দাঁড়ায় ১০.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৬। এরপর আবারও বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় বৃষ্টি আইনে। আর তাতে ১৭ রানে পিছিয়ে থাকায় হারতে হয় অ্যান্টিগাকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : সেন্ট লুসিয়া : ১৭৯/৪, ২০ ওভার (তামিম ২০, ফ্লেচার ৭৬, স্মিথ ২৯, স্যামি ৩৫; স্যামুয়েলস ৩৩/২, কর্নওয়াল ৩৬/২)। অ্যান্টিগা : ৭৬/৩, ১০.৪ ওভার (হ্যামিলটন ২৪, স্যামুয়েলস ২২*; ম্যাথুরিন ২৬/২, বেস্ট ৮/১)। ফল : বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে জয়ী সেন্ট লুসিয়া।
Discussion about this post