বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে মাঠের বাইরের নানা অনিয়ম ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে সমালোচনা চলছেই। দলগুলোর ব্যাংক গ্যারান্টি জমা না দেওয়া থেকে শুরু করে টিকিট বিক্রির হিসাব-নিকাশ পর্যন্ত বেশ কিছু বিতর্কিত ইস্যু উঠে আসে এবারকার আসরে। এসব নিয়ে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গতকাল নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বিপিএলের লভ্যাংশ, টিকিট বিক্রি থেকে আয় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অর্থনৈতিক দায়-দেনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা শেষে বিসিবির পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু গণমাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ইফতেখার মিঠু জানান, এবারের বিপিএলে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ৩৪ লাখ ৯০০ টাকা। তবে নানা খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত নেট আয় দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ব্যয়ের মধ্যে ছিল ই-টিকিটিং সিস্টেমের উন্নয়ন খরচ, টিকিটে ভ্যাট, এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর রাজস্ব বণ্টনে প্রথম চারটি দলের সঙ্গে ৫৫ লাখ টাকা ও ৫ থেকে ৭ নম্বর দলের সঙ্গে ৪৫ লাখ টাকার চুক্তি অনুযায়ী অর্থ ভাগ করা হয়।
অর্থনৈতিক অনিয়মের বিষয়ে মিঠু জানান, এখন পর্যন্ত বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির কোনো পাওনা বাকি নেই। রংপুরের অল্প কিছু বাকি থাকলেও তারা ঈদের আগেই পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বড় অঙ্কের বকেয়া রয়েছে। বিসিবি তাদের পাওনার অঙ্ক হালনাগাদ করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান মিঠু।
বোর্ডের আর্থিক স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একজন চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান মিঠু। ঈদের পরই এই পদে সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। নতুন বিসিবি সভাপতি বুলবুল বোর্ডকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে মিঠু বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিই বিশ্বমানের সংগঠনে পরিণত হতে চাই, তাহলে আমাদের মানবসম্পদ বিভাগসহ পুরো বোর্ডকে পুনর্গঠন করতে হবে।’
Discussion about this post