চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বায়িত্ব ছাড়ার পর এখনো কোচ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজে তাই টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের মোড়কে কোচের দায়িত্বে রয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। যেখানে তার ট্রেনিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ঢাকা টেস্টে বাজে হার এবার স্কোয়াডে থাকা মোসাদ্দেক হোসেনকে আবাহনীর জন্য ছেড়ে দেয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্ত নয়। আমি তো গড নই। আমি একটা খালেদ মাহমুদ সুজন, সামান্য একজন মানুষ। আমার সামর্থ্যও অনেক কম। আমি এখানে দাঁড়িয়ে কাজ করছি, মানুষ সেটা স্বীকার করুক বা না। আমার মেধা খারাপ হতে পারে, টেকনিক্যালি খারাপ হতে পারি, হয়ত জানি না অনেক কিছু। কিন্তু অন্য বিষয়ে যখন কথা হয়, তখন আমাকে তা অনেক কষ্ট দেয়।’
সুজন আরো বললেন, ‘দেখুন, যখন বলা হয় আমি আবাহনীর প্রধান কোচ, মোসাদ্দেককে খেলাইনি আবাহনীতে খেলানোর জন্য, যখন জাতীয় স্বার্থের কথা বলে কেউ এই ধরনের কথা বলে, তখন সত্যিই কষ্ট পাই। কারণ, আমি মনে করি না বাংলাদেশ দলের চেয়ে বেশি আবাহনী বা অন্য কিছু আমাকে স্পর্শ করতে পারে। পারবেও না। এসব কথা যখন বলা হয়, তখন সত্যিই খারাপ লাগে। মনে হয় যে এত বছর ক্রিকেটে থেকে কী লাভ হলো! মোসাদ্দেক ও আবাহনী যদি বাংলাদেশ দলের ম্যাচ হারার কারণ হয়ে যায়, তখন তা আসলেই কঠিন।’
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়, জাতীয় দলের স্কোয়াড থেকে ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড় ছাড়ার নজির থাকলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের জন্য কখনোই খেলোয়াড় ছাড়া হয় না। গত মাসের ত্রিদেশীয় সিরিজে একাদশ থেকে বাদ দিলেও খেলোয়াড়দের স্কোয়াডের সঙ্গেই রেখে দেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচের জন্য ছাড়া হয়নি তাঁদের।
কিন্তু বর্তমান টিম ম্যানেজম্যান্ট আবাহনী লিমিটেডের স্বার্থে তেমন কাজই করেছে।
Discussion about this post