ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শিরোপা পুনরুদ্ধার থেকে মাত্র এক কদম দূরে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। রোববার আবাহনী লিমিটেডকে হারালেই ধরা দেবে ট্রফি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) লিগ পর্বে অবশ্য তাদের নামিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিল নাঈম ইসলামদের দল। এবার হারাতে পারলেই যে ট্রফি পাবেন আফতাব আহমেদের শিষ্যরা।
সকাল ৯টায় বিকেএসপিতে সুপার লিগে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে সেই আবাহনীরমুখোমুখি হবে রূপগঞ্জ। জিতলেই ২০১৩ সালের পর ফের ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতবে লিজেন্ডসরা। সেই উৎসব ক্ষণের অপেক্ষায় দল।
চলতি মৌসুমে রূপগঞ্জ ও আবাহনী দারুণ ফর্মে রয়েছে। এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে আবার জয়ের ছন্দে ফিরেছে রূপগঞ্জ। তাতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির চেয়ে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে লিজেন্ডসরা। ডিপিএলের চলতি লিগের প্রথম পর্বের দেখায় আবাহনীকে উড়িয়ে দিয়েছিল রূপগঞ্জ। আগে বল হাতে নিয়ে শুভাশিষ রায়, মোহাম্মদ শহিদ ও নাবিল সামাদের তোপে প্রতিপক্ষকে ৩৯.১ ওভারে মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল লিজেন্ডসরা। জবাব দিতে নেমে মেহেদী মারুফের ব্যাটে ভর করে সহজেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল নাঈম ইসলামের দল। আবাহনীর চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে রূপগঞ্জ।
যদি রোববার নাঈম ইসলামরা হারে তবে লিগ শিরোপা নিষ্পতি হবে ২৩ এপ্রিল শেষ রাউন্ডে। সেদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন না শাহরিয়ার নাফীস-মোহাম্মদ নাঈমরা। আবাহনীকে হারিয়েই দল মাততে চায় আনন্দে।
এমনিতে দলগত শক্তি, তারকার সমাহার আর প্রশাসনিক খবরদারিতে আবাহনী প্রভাবশালী দল। তবে কোচ আফতাব আহমেদ বলেন, ‘দেখুন, আবাহনী তো নিঃসন্দেহ ভালো দল। তবে আমাদের দলও অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা অন্য কাউকে নিয়ে চিন্তা করছি না। শুধু একটাই চিন্তা আমাদের রোববারের ম্যাচেও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
এবারের ডিপিএলে ১৪ ম্যাচে মাত্র ২টিতে হেরেছে রূপগঞ্জ। সমান ম্যাচে মাঠে নেমে ৩টিতে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এবার দলটিকে তেমন অভিজ্ঞার মুখে ফেলতে চায় লিজেন্ডসরা।
ডিপিএলের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে লিজেন্ডস ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে এ ডানহাতি করেছেন ৩৯.১৪ গড়ে ৫৪৮ রান। যার মধ্যে রয়েছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরি। এদিকে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ও মেহেদী মারুফও রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। নিয়োমিতই তারা দলের জয়ে দিচ্ছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব। টুর্নামেন্টে ৮০.১৬ গড়ে ২ সেঞ্চুরি আর ১ হাফসেঞ্চুরি নাঈম ইসলাম করেছেন ৪৮১ রান। অন্যদিকে ১০ ম্যাচেন ৫৯.৬০ গড়ে মারুফ করেছেন ৪৭৬ রান।
এবারের লিগে বল হাতে রূপগঞ্জকে পথ দেখাচ্ছেন মোহাম্মদ শহীদ ও নাবিল সামাদ। ১৩ ম্যাচে ১১৬.৫ ওভার বল করে ৪৮৪ রান দিয়ে ২১ উইকেট নেন শহীদ। সমান ম্যাচে ১১৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২৮ রান দিয়ে ১৯ উইকেট নিয়েছেন নাবিল। ২৭ রানে ৩ উইকেট তার বোলিং ফিগার। ভারতীয় রিক্রুট ঋষি ধাওয়ানও দারুণ বোলিং করছেন। এখন পর্যন্ত এ ডানহাতি ১৩ ম্যাচে ১০৭.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৭৭ রানের বিনিময়ে রিয়েছেন ১৯ উইকেট। যার মধ্যে ৫১ রানে ৫ উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। সব মিলিয়ে আবাহনীর চেয়ে এগিয়েই নামছে রূপগঞ্জ।
Discussion about this post