ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (বিপিএল)। শুরুতেই সব ছাপিয়ে আলোচনায় ডিসিশান রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস। বিপিএলে প্রথমবারের মতো সংযোজন করা হয়েছিল ডিআরএস। কিন্তু এটি নিয়েই প্রতি ম্যাচে ঘটছে নানা ঘটনা। সব মিলিয়ে এটা হাসির খোরাক হয়েছে।
বিস্ময়কর হলেও সত্য ডিআরএস আছে কিন্তু ‘আল্ট্রাএজ’ বা ‘স্নিকোমিটার’ নেই। হটস্পটও নেই। যেন শিক্ষক ছাড়া এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান! থার্ড আম্পায়ারকে কট বিহাইন্ড কিংবা এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত নিতে হল স্লো মোশন ও শব্দ শুনে!
মুলত রোববার সিলেট সিক্সার্সের তৌহিদ হৃদয়ের এলবিডব্লু আর কুমিল্লার স্টিভেন স্মিথের আউটটি সেই স্লাে মোশন আর শব্দ শুনেই দিতে হল! স্মিথের আউট নিয়ে কথা তুললেন কুমিল্লা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এটা নিয়ে টুর্নামেন্টের আগেই আমাদের কথা হয়েছিল। কিন্তু এখানে আসলে স্নিকো বা আল্ট্রাএজ আনতে অনেক টাকা লাগে। এটা হয়তো যারা করছে তারা আনেনি। আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা বলেছিলাম, যেটা নিয়ে এখন ডিআরএস চলছে, খুব একটা যে লাভ হচ্ছে তা কিন্তু না। শুধু লেগ বিফরে হয়তো ঠিক সিদ্ধান্তটা আসছে, বাকিগুলোয় সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।’
ঘটনা সত্য। আল্ট্রাএজ বা স্নিকো টাকার কারণেই সংযোজন করা যায়নি। ডিআরএসে ব্যবহৃত প্রযুক্তি যেমন, হক-আই, আল্ট্রাএজ, হট স্পট, অডিও রাখতে হলে ম্যাচ প্রতি খরচ হবে ১০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা। বিপিএলে ৪৬ ম্যাচে খরচ প্রায় ৪ কোটি টাকা!
বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি ও বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা ওদের বলেছি। সম্প্রচার কতৃপক্ষ বলেছে স্লো মোশন ব্যবহার করে দেখছে। সেটি দিয়ে যদি কাভার না করে তবে তারা আল্ট্রা এজের ব্যবস্থা করবে।’ কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন জানালেন, ‘সময় এসেছে, এগুলো আমাদের অবশ্যই থাকা উচিত। আমরা তো মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি, এগুলো থাকাই উচিত।’
Discussion about this post