সময়টা কিছুতেই ভাল যাচ্ছে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ব্যাট হাতে তো নয়ই, নেতৃত্বেও ফ্লপ। মাঠে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ঠিক এমনই সময়ে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ হারল ৩৫ রানে। ডমনিকাতে যেখানে কিছু ভুল না হলে হয়তো ম্যাচটা হাসিমুখেই শেষ করতে পারতো টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে। যেখানে ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল। যদিও ম্যাচটি শেষ না হওয়ায় এনিয়ে কথা হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয়টিতেও দেখা গেল এলোমেলো দৃশ্য। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তাইতো প্রশ্নের মুখে। এনিয়ে নিজেও ম্যাচশেষে অকপটে উত্তর দিলেন।
যেখানে বোলিংয়ে ঘটতিতেও বড় করে দেখলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ যা বললেন তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
শুরুতে সমস্যা…
শুরুটা যথেষ্ট ভালো করতে পারিনি আমরা। শুরুর দিকে অনেক বেশি আলগা বল করেছি, যা ওদের মোমেন্টাম দিয়ে দেয়। মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিয়ে আবার মোমেন্টাম আমরা ফিরে পাই। তবে রভম্যান তা আবার আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছে সে।
বোলিং নিয়ে আক্ষেপ…
বোলিংয়ে আমরা কয়েকটি ওভারে বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। ওটাতেও সমস্যা নেই, টি-টোয়েন্টিতে কয়েকটি ওভারে বেশি রান হতেই পারে। তবে যেভাবে আমাদের পরিকল্পনা ছিল, যে জায়গায় বল করার কথা, সেখানে আমরা করিনি। ওটা সম্ভবত একটা দিক।
প্রসঙ্গ ব্যাটিং…
ব্যাটিংয়েও আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। সাকিব ভালো ব্যাট করেছে, তবে অন্য প্রান্তে আর কারও অবদান রাখা জরুরি ছিল। পাওয়ার প্লের সুবিধা নিতে হতো। এরপর সেই মোমেন্টাম বয়ে নিয়ে যেতে হতো। কিন্তু সাকিব ছাড়া, আফিফ ভালো খেলেছে, আর কোনো ব্যাটার কিছু করতে পারেনি।
১৯০ তাড়া করতে হলে ভালো একটা শুরু খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার প্লেতে ৫৫-৬০ রান লাগবে, তাহলে হয়তো ম্যাচে থাকা যায়। আমরা প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললাম, রান করেছি সম্ভবত ৪৪। ওখানে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি।
লক্ষ্য ছিল জয়ের..
সবসময় একটাই লক্ষ্য থাকে, ম্যাচ জেতা। টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেরকম দল, ভালো করতে হলে দল হিসেবে ভালো খেলতে হবে। ছোট ছোট প্রতিটি জায়গায় যার যা ভূমিকা, সুনির্দিষ্টভাবে তা পালন করতে হবে। তাহলে দল হিসেবে আমরা ভালো পারফর্ম করি। এটাই আমাদের শক্তির জায়গা।
সবসময় খেয়াল করে দেখবেন, কোনো সিরিজের প্রথম বা দ্বিতীয় ম্যাচে যদি আমরা ভালো খেলি, তাহলে অনেক উজ্জীবিত থাকি ও সিরিজটিকে এগিয়ে নিতে পারি। অনেক সময় যদি পিছিয়ে থাকি। আমি বলছি না, তাহলে পারব না। তবে শুরুটা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেয়। যেখানে আমরা সবশেষ অনেক ম্যাচ ধরে ধুঁকছি।
প্রসঙ্গ লিটন দাসের ফর্ম..
পরিসংখ্যান ওরকম থাকতে পারে, পরিসংখ্যান আমি সেভাবে অনুসরণ করিনি। তবে লিটন এখনও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। আপনি অবশ্যই আপনার সেরা ব্যাটসম্যানের ওপর আস্থা রাখবেন এবং চেষ্টা করবেন যেন ছন্দে ফিরতে পারে।”
লিটন টেস্ট ও ওয়ানডেতে খুবই ভালো ব্যাট করছে, ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। টি-টোয়েন্টিতে হয়তো সেটা বয়ে আনতে পারছে না। তবে আমরা এখনও ওর পাশে আছি, আমাদের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন সে।
মুস্তাফিজের বোলিং…
একইভাবে (লিটনের মতো) মুস্তাফিজও আমাদের সেরা বোলার। শুরুতে বলুন, মাঝখানে বলুন, ডেড ওভারে বলুন। সাদা বলে ও আমাদের সেরা বোলার। তাদের পাশে থাকতে হবে। এক-দুই ম্যাচে অনেক সময় এমন হয়। আমি সবসময়ই অনুভব করেছি, মুস্তাফিজ কামব্যাক করবে।
Discussion about this post