বব সিম্পসনের নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব আর পুনর্জাগরণের গল্প! অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ও কোচ সেই মানুষটি আর নেই। শনিবার সিডনিতে ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৫৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ডানহাতি ওপেনার সিম্পসনের । এক দশক পর অবসর নিলেও দেশের সংকটে আবার ফিরে আসেন ১৯৭৭ সালে। কেরি প্যাকার–ঝড়ে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়াকে তখন স্থিতি দেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে অধিনায়ক হিসেবে করেই করেন তার সব শতরান-এর মধ্যে একটি ত্রিশতরানও ইতিহাসে অমলিন।
তবে সিম্পসনের সবচেয়ে বড় অবদান খেলোয়াড় নয়, কোচ হিসেবেই। ১৯৮৬ সালে কোচ হয়ে দায়িত্ব নেন ভগ্নদশার অস্ট্রেলিয়া দলের। অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারের সঙ্গে মিলেই গড়ে তোলেন শৃঙ্খলা–নির্ভর একটি সংস্কৃতি। ১৯৮৭ সালে কলকাতার ইডেনে প্রথম বিশ্বকাপ জয় সেই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় প্রতীক।
সিম্পসনের সময়েই উঠে আসেন অজি সোনালি প্রজন্ম-টেলর, হিলি, ওয়াহ ভ্রাতৃদ্বয়, শেন ওয়ার্ন, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ম্যাথু হেডেন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, রিকি পন্টিং। কার্যত তিনি ভিত্তি গড়ে দেন সেই অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়ার, যারা প্রায় দুই দশক বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করেছে।
১৯৯৬ সালে কোচের পদ ছাড়লেও সিম্পসনের উত্তরাধিকার অজি ক্রিকেটকে আজও পথ দেখায়। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রম আর দূরদর্শিতা একটি ভেঙে পড়া দলকে বিশ্বের সেরা দলে পরিণত করতে পারে!
Discussion about this post