মনে হচ্ছিল সিরিজ না হারার কাজটা বুঝি ব্যাঙ্গালোরেই সেরে নেবে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য লক্ষ্যটাও তেমন আকাশ ছোঁয়া ছিল না। ১৮৮ রান তুললেই রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠল। শেষ পর্যন্ত ১১২ রানেই আটকে গেল অজিরা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন-বিষে শেষ হয়ে গেল সফরকারীরা। ৭৫ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় দিয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির লড়াইয়ে ফিরল ভারত। ২ টেস্ট শেষে সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
মঙ্গলবার শেষ ইনিংসে ১৮৭ রান ব্যাঙ্গালোরের উইকেটে ছোট কোন লক্ষ্য ছিল না। কারণ প্রথম দিন থেকেই এটি ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছিল। অার মঙ্গলবার দিনটাতো ছিল শুধুই অশ্বিনের। টেস্টের চতুর্থ দিনে ঘূর্ণি বলের যাদু দেখালেন তিনি। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংসে অলআউট ১১২ রানে।
অথচ প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচটা ছিল সফরকারীদের দিকেই। কিন্তু পরে ব্যাটসম্যানরা স্রোতের বিপরীতে লড়লেন। তুললেন ২য় ইনিংসে ২৭৪ রান। লোকেশ রাহুলের ব্যাটে ৫১। আর চেতেশ্বর পুজারা ফিরেন ৯২ রানে। আজিঙ্কা রাহানে ৫২।
আপাত ছোট লক্ষ্যের সামনে নেমে কোন অজি ব্যাটসম্যানই লড়তে পারলেন না। ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে স্টিভেন স্মিথের ব্যাট থেকে। তারা ১১ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট।
৪১ রানে ৬ উইকেট নেন অশ্বিন। ২৫তম ৫ উইকেট নিয়ে স্পর্শ করেন হরভজন সিংকে। ১০৩ টেস্ট খেলেছেন হরভজন। অশ্বিন করলেন ৪৭ টেস্টেই। ৪৭ টেস্টে ২৬৯ উইকেট নিয়ে টপকে যান বিষেন সিং বেদিকে। সাবেক ওই স্পিনার ৬৭ টেস্টে ২৬৬ উইকেট নিয়েছেন।
অশ্বিনের এমন চমকের পরও ম্যাচেসেরা লোকেশ রাহুল। দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত ১ম ইনিংস: ১৮৯/১০
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২৭৬/১০
ভারত ২য় ইনিংস: ২৭৪/১০
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৩৫.৪ ওভারে ১১২ (লক্ষ্য ১৮৮) (ওয়ার্নার ১৭, রেনশ ৫, স্মিথ ২৮, শন মার্শ ৯, হ্যান্ডসকম ২৪, মিচেল মার্শ ১৩, ওয়েড ০, স্টার্ক ১, ও’কিফ ২, লায়ন ২, হেইজেলউড ০*; ইশান্ত ১/২৮, অশ্বিন ৬/৪১, উমেশ ২/৩০, জাদেজা ১/৩)।
ফল: ভারত ৭৫ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: লোকেশ রাহুল
সিরিজ: ৪ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা
Discussion about this post