অসম্ভবকে সম্ভব করা হলো না অস্ট্রেলিয়ার। আগের দিন যেমনটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল তাই হল। ম্যাচ বাঁচাতে তো পারলই না অজিরা, উল্টো বড় ব্যবধানে আবুধাবি টেস্টে হারল তারা। পাকিস্তান ৩৫৬ রানে হারিয়ে জিতল। তাতেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
দুবাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট ২২১ রানে জিতেছিল মিসবাহ উল হকের দল।
ইতিহাস জানাচ্ছে সেই ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে শেষবার অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর টেস্টে ক্রিকেটে ৭টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়েছে তারা। হেরেছে ৬ বার। অন্য সিরিজটি ড্র।
আবুধাবিতে জয়ের মঞ্চ তৈরিই ছিল পাকিস্তানের। সোমবার টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট। টেস্ট বাঁচাতে হলে পুরো দিন ব্যাট করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু কিসের কী! পঞ্চম দিন পাকিস্তান অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৮ রানে অলআউট করতেই মেতে উঠে উৎসবে। আহ! কতো কাল পর অজিদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়।
১২০ রানে ৫ উইকেট নেন সেরা বোলার জুলফিকর বাবর। তবে ম্যাচসেরা মিসবাহ। যিনি এই টেস্টেই গড়েছেন দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি আর সেঞ্চুরির রেকর্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৫৭০/৬ ডি. ও ২য় ইনিংস : ২৯৩/৩ ডি।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ২৬১/১০ ও ২য় ইনিংস : ২৪৬/১০ (ওয়ার্নার ৫৮, স্মিথ ৯৭, মার্শ ৪৭; বাবর ৫/১২০, ইয়াসির ৩/৪৪, হাফিজ ২/৩৮)।
ফল : পাকিস্তান ৩৫৬ রানে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-০-তে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মিসবাহ-উল-হক।
সিরিজসেরা : ইউনুস খান।
#######################
অস্ট্রেলিয়াকে ”শেখাচ্ছে” পাকিস্তান!
রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আবুধাবি টেস্ট জয় তাদের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। চতুর্থ দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের প্রান্তে স্বাগতিকরা। মধ্যপ্রাচ্যে অজিদের যেন টেস্ট খেলা শেখাচ্ছে পাকিস্তান!
রোববার ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচ বাঁচাতে হলে সোমবার ৬ উইকেট নিয়ে পুরো দিন পার করতে হবে তাদের। কেননা জিততে যে দরকার আরো ৪৬০ রান। সেটা অসম্ভবই বলা যায়।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এদিন ছিল মিসবাহ উল হকের। টেস্টে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি আর সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি।
২৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন মিসবাহ। এরপর ৫৬ বলে শতরান করেন। ভিভ রিচার্ডসের করা টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি। এতে ছিল ১১ চার ও ৫ ছক্কা।
সেঞ্চুরি করেন আজাহার আলি। আর পাকিস্তান ৬০৩ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় অজিদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ১ম ইনিংসে ৫৭০/৬ ডিক্লে.(ইউনুস ২১৩, আজহার ১০৯, মিসবাহ ১০১; স্টার্ক ২/৮৬) ও ২য় ইনিংসে ২৯৩/৩ ডিক্লে. (শেহজাদ ১৪, হাফিজ ৩, আজহার ১০০*, ইউনুস ৪৬, মিসবাহ ১০১*; জনসন ২/৪৫)।
অস্ট্রেলিয়া: ১ম ইনিংসে ২৬১/১০ (মার্শ ৮৭, ইমরান ৩/৬০) ও ২য় ইনিংসে ১৪৩/৪ (রজার্স ২, ওয়ার্নার ৫৮, ম্যাক্সওয়েল ৪, ক্লার্ক ৫, স্মিথ ৩৮*, মার্শ ২৬*; বাবর ৩/৬৫)।
####################################
সিরিজ জয়ের সুবাস পাচ্ছে পাকিস্তান
সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান। আবুধাবি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৭০ রানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
শনিবার অজিদেনর ফলোঅন না করিয়ে ২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ২ উইকেটে ৬১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। প্রথম ইনিংসে ৩০৯ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান। ২৬ বছর পর অজিদের বিপক্ষে ১ম ইনিংসে ৩০০ রানের বেশি এগিয়ে থাকল তারা। এর আগে দুবার এমন সাফল্য পেয়েছিল তারা। সেটা ১৯৮২ ও ১৯৮৮ সালে।
সিরিজের এই দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হলে ২০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতবে পাকিস্তান। দুবাইয়ে প্রথম টেস্ট জিতে এগিয়ে আছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ১ম ইনিংসে ৫৭০/৬ ডিক্লে. ও ২য় ইনিংসে ৬১/২ (শেহজাদ ১৪, হাফিজ ৩, আজহার ২১*, ইউনুস ১৬*; জনসন ২/২৯)।
অস্ট্রেলিয়া: প্রথম ইনিংসে: ২৬১/১০ (ওয়ার্নার ১৯, ম্যাক্সওয়েল ৩৭, ক্লার্ক ৪৭, মার্শ ৮৭; ইমরান ৩/৬০, রাহাত ২/৪১, ইয়াসির ২/৪৭, বাবর ২/৯৪)।
#######################
এবার ইউনিসের ডাবল সেঞ্চুরি
যেমনটা বলা হচ্ছিল-এই সময়টা যেন শুধুই ইউনিস খানের। তাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেইসব সমালোচকদের মুখ চুপসে দিয়ে এবার ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ইউনিস খান। তাতেই আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষে পাকিস্তান উঠে গেছে রান পাহাড়ে। ৬ উইকেটে ৫৭০ রান করেছে তারা।
এরপর ২২ রানেই ১ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
১০৯ রান করে আউট হয়ে যান আজহার। ইউনুসের সঙ্গে তিনি গড়েন ২৩৬ রানের জুটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে পাকিস্তানের সেরা। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি (১০১) করেন মিসবাহ। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাধিক ২৪৪৭ রানের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ইমরান খান করেছিলেন ২৪০৮ রান।
এদিকে এরপর ক্যারিয়ারের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন ইউনিস। শেষ পর্যন্ত ২১৩ আউট হন তিনি। এর আগে দুবাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শতরান তুলেছিলেন দুই ইনিংসেই। ইউনুস করেছিলেন ১০৬ এবং অপরাজিত ১০৩ রান।
দুবাই টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে আছে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৫৭০/৬ ডি. (ইউনুস ২১৩ , আজহার ১০৯, মিসবাহ ১০১, হাফিজ ৪৫, শেহজাদ ৩৫; স্টার্ক ২/৮৫, জনসন ১/৫৯, লায়ন ১/১৫৪)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ২২/১ (ওয়ার্নার ১৬ ব্যাটিং, রজার্স ৫, লায়ন ১ ব্যাটিং; ইমরান ১/১৮)।
* ২য় দিন শেষে।
###################
টানা তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড ইউনিসের
সময় এখন ইউনিস খানের। ব্যাট হাতে একের পর এক চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান। এইতো এবার আবুধাবি টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। এর আগে দুবাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শতরান তুলেছিলেন দুই ইনিংসেই। ইউনুস করেছিলেন ১০৬ এবং অপরাজিত ১০৩ রান।
টানা তিন সেঞ্চুরি এবার তার ব্যাটে। যা কীনা রেকর্ড। আর তাতেই আবুধাবি টেস্টের প্রথম দিনটা দারুণ কাটল পাকিস্তানের। অজিদের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩০৪ রান তুলেছে তারা।
বৃহস্পতিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি করে ইউনিস গড়ে ফেললেন ইতিহাস। চতুর্থ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন টেস্ট ইনিংসে যে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার সঙ্গে এদিন শতরান তুলে নিলে আজহার আলি। তার ব্যাটে অপরাজিত ১০১। ইউনুস নটআউট ১১১।
এর আগে দুবাই টেস্টের দুই ইনিংসে
টানা তিন টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি করে কিংবদন্তি জহির আব্বাস, মুদাসসর নজর এবং মোহাম্মদ ইউসুফের পাশে চলে গেলেন ইউনিস।
এদিকে দুবাই টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে আছে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৩০৪/২ (ইউনুস ১১১ ব্যাটিং, আজহার ১০১ ব্যাটিং, হাফিজ ৪৫, শেহজাদ ৩৫; জনসন ১/৫০, লায়ন ১/৮৬)।
Discussion about this post