সমীকরণ এবার আর মিলল না। দিল্লির এই মাঠটি দারুণ পয়মন্ত বাংলাদেশের। এখানেই ২০১৯ সালে ভারতকে হারিয়েছিল টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে। সেই ঐতিহাসিক জয়ের রেশ এখনো আছে। কিন্তু এই মাঠেই আজ বুধবার বড় হার দেখল বাংলাদেশ। শুরুতে বোলাররা এলোমেলো বল করলেন। এরপর ব্যাটাররা ব্যর্থ! দুইয়ে মিলে ৮৬ রানের বড় হার।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিন-রাতের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলে ২২১ রান। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ১৩৫ রান। এই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ আগেই জিতে নিল ভারত।
এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অল্পের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারেনি ভারত। ৯ উইকেটে ২২১ রানে থামল তারা। পচেফস্ট্রুমে ২০১৭ সালে ৪ উইকেটে ২২৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারততের নিতিশ কুমার রেড্ডি ও রিঙ্কু সিং ঝড় তুলে বিপাকে ফেলেন বাংলাদেশকে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে গড়েন ৪৯ বলে ১০৮ রানের জুটি। নিতিশ ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৩৪ বলে ৭৪। রিঙ্কু ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৯ বলে করেন ৫৩ রান।
৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তুলেন রিশাদ। ৪ ওভারে ৫৫ রান দেন তিনি। এছাড়া অন্য দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান নেন ২টি করে উইকেট।
তিন পেসারের ১২ ওভার থেকে এসেছে ১০০, তিন স্পিনারের ৮ ওভার থেকে এসেছে ১১৬ রান।
এরপর ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। যা একটু লড়লেন ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটে ৩৯ বলে ৪১ রান। অন্যরা উইকেটে আসা-যাওয়ার দায় সেরেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ২০ ওভারে ২২১/৯ (স্যামসন ১০, আভিশেক ১৫, সুরিয়াকুমার ৮, নিতিশ ৭৪, রিঙ্কু ৫৩, পান্ডিয়া ৩২, পারাগ ১৫, সুন্দার ০*, ভারুন ০, আর্শদিপ ৬, মায়াঙ্ক ১*; মিরাজ ৩-০-৪৬-০, তাসকিন ৪-০-১৬-২, তানজিম ৪-০-৫০-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৬-২, রিশাদ ৪-০-৫৫-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১৫-০)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৫/৯
Discussion about this post