তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। একটুর জন্য জেতা হলো না ঢাকা টেস্ট। ৩ উইকেটের হারে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষ। অথচ জয়ের কাছাকাছিই ছিল টাইগাররা। টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে জয়ের সুবাস পেলেও দুপুরেই দুঃসংবাদ। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়াস আইয়ার জয়টা কেড়ে নিলেন বাংলাদেশের। হারা ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন তারা।
ভারত টেস্ট সিরিজ জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। এই হারের পর রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি।’
লড়াই করে হারায় দুঃখ নেই সাকিবের। তিনি বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা সব দিক থেকেই চেষ্টা করেছি। হয়তো আরেকটু ভালো বল করতে পারতাম, আরও কিছু সুযোগ হয়তো তৈরি করতে পারতাম। যে ধরনের উইকেটে খেলা হচ্ছিল, এখানে হয়তো আরও একটি-দুটি সুযোগ তৈরি করা উচিত ছিল। তবে আমি খুবই খুশি, যেভাবে আমরা পুরো টেস্ট ম্যাচে লড়াই করেছি।’
টেস্টে কিছুতেই প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির দেখা হচ্ছেই না। অথচ এবার ঢাকা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে জেতা যেতো। কেন জয় ধরা দিল না? সাকিব বলছিলেন, ‘৭৫ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর তো আশা করবেন যে আপনার দল জিতবে। বিশেষ করে যখন আরও ৮০ রান দরকার, কেবল তিন উইকেট আছে। বলাটা কঠিন যে কী হলে কী হতে পারতো। কাছে গিয়ে জিততে না পারার আফসোস আছে। তবে এটাও ভালো যে অন্তত আমরা কাছে যেতে পারছি এখন। আশা করি, পরের বছর থেকে ভালো ফল দেখাতে পারবো।’
১৪৫ রানের টার্গেটে নেমে ৩ উইকেটে জিতল ভারত। চতুর্থ দিন প্রথম সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১০০ রান, বাংলাদেশের ৬ উইকেট। এরপর ৩ উইকেট দ্রুত তুলে টাইগাররা। অশ্বিনকেও দ্রুত ফেরানোর সুযোগ আসে। মিরাজের বলে অশ্বিন শর্ট লেগে ক্যাচ দিলে তা হাতে জমাতে পারেন নি মুমিনুল হক।
সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ সাকিব, ‘একটু তো হতাশার। কারণ এগুলোই হয়তো অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ওদের হয়তো প্রথম ইনিংসে রান ৩১৪ না হয়ে ২৫০ হতে পারতো। দ্বিতীয় ইনিংসেও অবশ্যই সুযোগ ছিল। এসব ক্রিকেটের অংশ, তবে হতাশানজক যে অন্য দলগুলো এসব মিস করে না, আমরা যেগুলো করি। আমি নিশ্চিত, অন্য কোনও দলই এতগুলো সুযোগ দিতো না, যতটা সুযোগ আমরা দেই। অনেক ক্ষেত্রে আছে, খুবই নিয়মিত জিনিসগুলো আমরা মিস করে ফেলি, যেটা অন্য দেশগুলো করে না। এই জায়গায় উন্নতি করতে পারলে অন্য জায়গাগুলোতে স্কিলের জায়গায় ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দিক থেকে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য নেই।’
Discussion about this post