ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সকালটা ছিল কেমন জানি বিবর্ণ। কিছুটা চ্যালেঞ্জিংও। কারণ ক্যান্ডির পালেকেল্লে স্টেডিয়ামে টস জিতেপ্রিথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা বেশ সাহসীই। সেটিই করেছিলেন মুমিনুল হক। কথায় আছে ভাগ্যও নাকি সাহসীদের সঙ্গে থাকে। তাই হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন। ৯০ ওভারে শেষে হাসিমুখ বাংলাদেশের।
আর দিনটা বাংলাদেশের করে তুলেছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিম নার্ভাস নাইটিজে ফিরলেও শান্ত তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। অর্ধশতক এসেছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকেও। ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ করেছে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রান। নাজমুল শান্ত ২৮৮ বলে ১২৬ ও মুমিনুল ১৫০ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। শান্তর সঙ্গে মুমিনুলের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৫০। দেশের বাইরে তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের এটিই সর্বোচ্চ জুটি।
তৃতীয় ও শেষ সেশনে বাংলাদেশ তুলে ১০২ রান। এই সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি দল। সব মিলিয়ে মুমিনুলের দল প্রথম দিনই বুঝিয়ে দিয়েছে এবার বড় স্কোর গড়তেই লড়বে। অবশ্য ব্যাটসম্যানদের দাপটের দিনে হতাশার নাম সাইফ হাসান। ইনিংসের শুরুতে ফিরেন শূন্য রানে।
দুই বছর পর টেস্ট সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ফিরেলন তামিম। ৯০ রানে আউট। অথচ উইকেটে চুঁড়ে দিয়ে না আসলে মিলতে পারতো ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। বিশ্ব ফার্নান্দোর এক্সটা বাউন্স বলে স্লিপে থিরামান্নের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তামিম হাফসেঞ্চুরি তুলেন ৫২ বলে। কিন্তু আক্ষেপ নিয়ে শতকের কাছে গিয়ে আউট। তামিম সর্বশেষ শতক হাঁকান ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার তুলেন ১০১ বলে ৯০।
তার আগে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ও শান্ত যোগ করেন ১৪৪ রান। তামিম-শান্ত এই জুটি দিয়ে প্রায় এক যুগ পর বিদেশের মাঠে টেস্টে দ্বিতীয় জুটিতে সেঞ্চুরি পায় বাংলাদেশ দল। সবশেষ সেঞ্চুরি জুটিতেও ছিলেন তামিম ইকবাল। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে। আরেক বাঁহাতি জুনায়েদ সিদ্দিকের সঙ্গে তামিমের তুলেন ১৪৬ রান।
শান্ত ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পথে বেশ দেখেশুনে খেললেন। ১২০ বলে তুলেন ফিফটি। সেঞ্চুরি ছুঁতে খেলেন আরও ১১৫ বল। জবাবটাও দেন সমালোচকদের। তার শতকে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি হয়তো পাচ্ছে নির্বাচকরা। কারণ সমালোচনার পরও তারাই যে বারবার শান্তকে জায়গা দিয়েছেন দলে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩০২/২ (তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১২৬*, মুমিনুল ৬৪*; লাকমল ১৮-৭-৫৫-০, বিশ্ব ১৭-২-৬১-২, কুমারা ১৯-২-৬৩-০, ম্যাথিউস ৫-১-৮-০, ধনাঞ্জয়া ১৬-১-৭১-০, হাসারাঙ্গা ১৫-১-৩৪-০)।
Discussion about this post