ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই যে টানটান উত্তেজনা সেটা আবারও প্রমাণিত হল রোববার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একবারে শেষ দিকে এসে জয় হাতছাড়া হয়েছে পাকিস্তানের। এ ম্যাচ ভারত জিতেছে ৪ উইকেটে।
শেষ ২ ওভারে ভারতের জিততে দরকার ছিল ৩১ রান। ১৯তম ওভারে হারিস রৌওফের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা হাকিয়ে বিরাট কোহলি সমীকরণ করে ফেরেল ৬ বলে ১৬ রান। ঠিক সে সময়ে বল হাতে আক্রমণে আসেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। নিজের প্রথম বলেই এ স্পিনার ফিরেয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়াকে। স্ট্রাইকে দিনেশ কার্দিক। দ্বিতীয় বলে তিনি নেন ১ রান। এবার স্ট্রাইকে কোহলি। বড় শটসের আশা করেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। কিন্তু কোহলি নেন ২ রান। যে কারণে শেষ ৩ বলে ভারতের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৩ রান। চতুর্থ বলে কোহলি হাঁকালেন ছক্কা। সে সময় নাওয়াজের বলটি ছিল নো। পরের বল নাওয়াজ দেন নো। চতুর্থ বলে কোহলি হয়েছিলেন বোল্ড। তবে নো বলের কারণে ফ্রি হিট হওয়ার উল্টো ৩ রান পেয়ে যায় ভারত। তাই জয়ের জন্য তাদের শেষ ২ বলে দরকার পড়ে ২ রান। ৫ম বলে রান আউট হন দিনেশ কার্তিক। আর শেষ বলে নাওয়াজ দেন ওয়াইড। তাই পাকিস্তানের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন দারুণ এক শটে ১ রান নিয়ে জয় উল্লাসে মাতেন।
মেলবোর্নে টস হেরে রোববার আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলে ১৫৯ রান। জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ধুকতে থাকে ভারত। তবে পঞ্চম উইকেটে দলটিকে আশা দেখান বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। তারপরও পরাজয়ই উঁকি দিচ্ছিলো দলটি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিরাট কোহলির অসাধারণ দৃঢ়তায় একবারে শেষ বলে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৮২ রানে। এরআগে পান্ডিয়া খেলে যান ৩৭ বলে ৪০ রানের সময় উপযোগি এক ইনিংস।
রান তাড়ায় রোববার ভারতের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই লোকেশ রাহুলকে হারায় তারা। সে সময় তাকে বোল্ড করে ফেরান নাসিম শাহ। এরপর হারিস রৌওফের তোপে পড়ে ভারত। চতুর্থ ওভারে তার করা দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। এদিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পরেননি সূর্যকুমার যাদব। তাকে ১৫ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরান হারিস রৌওফ। এদিকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমশন পাওয়া অক্সার প্যাটেলও পারেননি কিছু করতে। রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। তাই মহা বিপদে পড়ে ভারত। তবে পঞ্চম উইকেটে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন বিরাট-হার্দিক। তারা গড়ে তোলেন ১১৩ রানের জুটি। তারপরও পরাজয়ই চোখ রাঙাচ্ছিলো। তবে শেষ দুই ওভারে কোহলি চালান তান্ডব। যে কারণে তীরে এসে তরী ডোবে পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের হয়ে রোববার ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন হারিস রৌওফ। এছাড়া নাওয়ান নেন ২ উইকেট। অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি
Discussion about this post