কম যাচ্ছে না জিম্বাবুয়ে। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের ১ম ইনিংসে ৪৩৩ রানের জবাব দিতে গিয়ে বিপাকে পড়বে সফরকারীরা। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা সেভাবে চেপে ধরতে পারেনি তাদের। বিশেষ করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বদলে দিয়েছেন দৃশ্যপট। তার সেঞ্চুরিতে খুলনা টেস্টে লড়ে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় দিনের শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৫ উইকেটে ৩৩১। মাসাকাদজা ১৫৪ ও রেগিস চাকবভা ৭৫ রানে উকেটে আছেন।
তবে এখনো বাংলাদেশের ১ম ইনিংসের চেয়ে ১০২ রানে পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে।
সাকিব ৩টি এবং তাইজুল নিয়েছেন ২টি উইকেট।
বুধবার সকালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ৫৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে।
এর আগে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের শতরানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তুলে ৪৩৩ রান। তামিম তিন অঙ্কে পৌঁছতে সময় নেন ৪৩৮ মিনিট।। শতরান করতে তামিম খেলেন ৩১২ বল। এটি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি। এর আগে তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৩০৯ বলে করেন শতরান, ২০০৫ সালে। এবার দেখা মিলল অন্য এক তামিমের। ৩৪ ইনিংস পর শতরান পেলেন তিনি। অথচ এই তামিম ২০১০ সালে লর্ডসে বাংলাদেশের দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি গড়েছিলেন। তিন অংকে পৌঁছতে খেলেন ৯৪ বর।
অন্যদিকে সাকিব পেয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতরান।
ঢাকা টেস্ট জিতে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
#####################
বাংলাদেশের ৪৩৩ রানের জবাব দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে
ব্যাট করতে যেন ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। একের পর এক ব্যর্থ! মনে হচ্ছিল টেস্ট দলে বুঝি জায়গাটাই হারাবেন তামিম ইকবাল। একের পর এক ব্যর্থ হলে সমালোচনার তোপে তো পড়তেই হয়! বলা হচ্ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটাই ছিল তার শেষ সুযোগ।
এমন চাপের মুখে ঝলসে উঠল তামিমের ব্যাট। প্রায় সাড়ে চার বছরের অপেক্ষা শেষ হল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার শতরান তুলে নিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন।
কম গেলেন না সাকিব আল হাসানও। তার ব্যাটেও শতরান। আর তাতেই এ রিপোর্ট লেখার সময় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে তুলেছে ৪৩৩ রান।। সাকিব ফিরে গেছেন ১৩৭ রানে। জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে বুধবার তৃতীয় দিনে এ রিপোর্ট লেখার সময় রান ২ উইকেট হারিয়ে ১৪০।
মঙ্গলবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অবশ্য রয়ে সয়ে নয়, স্বভাবসুলভ মারকুঠে ব্যাটিং ছিল তামিমের। তারপরও এটি তার সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কে পৌঁছতে সময় নেন ৪৩৮ মিনিট।। শতরান করতে তামিম খেলেন ৩১২ বল। এটি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি। এর আগে তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৩০৯ বলে করেন শতরান, ২০০৫ সালে। এবার দেখা মিলল অন্য এক তামিমের। ৩৪ ইনিংস পর শতরান পেলেন তিনি। অথচ এই তামিম ২০১০ সালে লর্ডসে বাংলাদেশের দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি গড়েন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্কে পৌছান ৯৪ বলে।
১০৯ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার।
তামিম আউট হতেই সাকিব দেখে খেলে তুলে নেন তৃতীয় টেস্ট শতরান।
সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনেও বেশ দাপটেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে ঢাকা টেস্ট জিতে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে আছে মুশফিকুর রহীমের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৪৩৩/১০ (১০৯, শামসুর ২, মুমিনুল ৩৫, মাহমুদুল্লাহ ৫৬, সাকিব ১৩৭, মুশফিক ১১, শুভাগত ১৫, তাইজুল ৩২, শাহাদাত ১৮, জুবায়ের ১, রুবেল ০*; পানিয়াঙ্গারা ২/৪৯, চাটারা ২/৬১, ওয়ালার ২/৬৫)
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংসে ৫৩/১ (রাজা ১১, চারি ২১*, মাসাকাদজা ১৫; তাইজুল ১/২১)
################################
তামিমের ব্যাটে ৭৪*, লড়ছে বাংলাদেশ
আবারো সেই চেনা তামিম ইকবাল যেন ফিরে এলেন। ফিরে এলেন আরো পরিনত হয়ে। সোমবার দেখিয়ে দিলেন যোগ্যতার পরিধি। ব্যর্থতা পেছনে ফেলে দারুণ ব্যাটিং করলেন তিনি। আর তাতেই খুলনা টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। সোমবারের দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৯৩। রয়েসয়ে ব্যাট করেছে দল।
তামিম ৭৪ ও সাকিব আল হাসান ১৩ রানে ব্যাট করছেন।
যদিও এই রান করার পথে একবার জীবনও পেয়েছেন তামিম। সেটা ৫৮ রানের সময়। ম্যালকম ওয়ালারের বলে রেগিস চাকাবভার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হল না। ক্যাচ ড্রপ!
দারুণ খেলছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। কিন্তু ৫৬ রানে ফিরে যান তিনি। খেলেন ১৫২ বল।
২৯ রানে ২ উইকেট নেন পানিয়াঙ্গারা।
এর আগে খুলনায় টস ভাগ্য কথা বলল বাংলাদেশের হয়ে। সোমবার সকালে মুদ্রা নিক্ষেপে জিতেই প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুশফিকুর রহীম। আর এ রিপোর্ট লেখার সময় দলের ১ম ইনিংসে রান ২ উইকেট হারিয়ে ১২৭। দেখে শুনে ধীর গতিতে এগুচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের শুরুতেই দল হারায় শামসুর রহমানকে। মাত্র ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
এরপর তামিম ইকবাল ও মমিনুল হক কিছুটা প্রতিরোধের দেয়াল তুলে দাড়ান। কিন্তু ৪৫ রানে শেষ মমিনুলের ইনিংস।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন হয়েছে। আল আমিনের জায়গায় খেলছেন পেসার রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে দলে দলে এসেছেন ম্যালকম ওয়ালার। আর অভিষেক হল ব্রায়ান চারি ও নাটসাই মুশাংওয়ের।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ১৯৩/৩ (তামিম ৭৪*, শামসুর ২, মুমিনুল ৩৫, মাহমুদুল্লাহ ৫৬, সাকিব ১৩*; পানিয়াঙ্গারা ২/২৯)
Discussion about this post