শুরুটা ভাল না হলেও শেষপর্যন্ত ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ৪৬৯ রানে অলআউট হওয়ার পর স্বাগতিকরা দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে তুলেছে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান। বাংলাদেশের রান ২ উইকেট উইকেটে রয়েছেন মমিনুল (উইকেটে রয়েছেন) এবং মার্শাল আইয়ুব (২১)। কিউইদের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৩৬৬ রান পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
এর আগে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না! দশম উইকেটে এসে এমন ’যন্ত্রণা’ সহ্য করা যায়? নিয়মিত বোলাররা যখন ব্যর্থ তখন বিরক্ত অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বল তুলে দেন মমিনুল হকের হাতে। তিনিই ফিরিয়ে দেলেন সেঞ্চুরিয়ান বিজি ওয়াটলিংকে। ততোক্ষণে দশম উইকেট জুটিতে ট্রেন্ট বোল্টকে নিয়ে জমা করেন ১২৭ রান। নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংসে তুলে সব উইকেট হারিয়ে ৪৬৯ রান। বিজি ওয়াটলিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ১০৩ । বোল্ট অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। অবশ্য ওয়াটলিং ফিরে যেতে পারতেন ৪ রানে। রুবেল হোসেনের বলে আউটও হয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ছিল নো বল!
এরপর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই হারিয়েছে তামিম ইকবালকে। শুন্য রানে ফিরে গেছেন লোকাল হিরো। ৩ রানে আউট অন্য প্রান্তের ওপেনার আনামুল হক।
বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সফরকারীদের চাপে ফেলে বাংলাদেশের স্পিনাররা। কিন্তু বিজি ওয়াটলিং এবং ট্রেন্ট বোল্ট প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। ৩৪২ রানে কিউইদের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আম্পায়াররা লাঞ্চ ৩০ মিনিট পিছিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয় নি। আউট করা যায় নি ওয়াটলিং এবং ট্রেন্ট বোল্টকে। বেশ ভুগিয়েছেন দু’জন।
ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। দুটি করে উইকেট সোহাগ গাজী এবং সাকিব আল হাসানের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ- নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতে আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলেও দ্বিতীয় দিন রোদ ঝলমলে আকাশ!
টেস্টে দশম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতরানের জুটি
ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষ জুটিতে রান ভেন্যু সাল
শচীন ও জহির ভারত ১৩৩ মিরপুর ২০০৪
ওয়াটলিং ও বোল্ট নিউজিল্যান্ড ১২৭ চট্টগ্রাম ২০১৩
http://youtu.be/fhXMb81OcNA
Discussion about this post