সাকিব আল হাসান আসলে একজনই। দেশসেরা ক্রিকেটার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বড় একটা দুঃসময় পেরিয়ে এসেছেন তিনি। শৃংখলা ভঙ্গের কারন দেখিয়ে তাকে নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই ধাক্কা সামলে উঠে মাঠে ফিরেই চেনা সাকিব।
দলের সেরা পারফরমার। এইতো শুক্রবার আরো একবার দেখিয়ে দিলেন যোগ্যতার পরিধি। খুলনা টেস্টে সেঞ্চুরি পর ১০ উইকেট নিলেন তিনি। এই কৃতিত্ব টেস্ট অঙ্গনে গত তিন দশকে কেউ দেখাতে পারেনি।
খুলনা টেস্টে ব্যাট করতে নেমে করেন ১৩৭ রান। ১৫৩ বলে সেঞ্চুরি। যাতে ছিল ১২ চার ও ৩ ছক্কা। শেষপর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষ ১৩৭ রান করে সাকিব ধরেন সাজঘরের পথ।
এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান। এরপর জিম্বুায়ের বিপক্ষে ১ম ইনিংসে ৮০ রানে ৫ উইকেট নেন। আর শুক্রবার ফের ৫ উইকেট শিকার করে দলকে এনে দেন দারুণ এক জয়।
তাতেই গ্যারি সোবার্স, জ্যাক ক্যালিস, মুশতাক মোহাম্মদের পাশে চলে যিন সাকিব। তাদের প্রত্যেকেই দু’বার করে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
একইসঙ্গে এক টেস্টে শতরান ও ১০ উইকেটও নিলেন সাকিব। এই কৃতিত্ব আছে শুধুই ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম এবং পাকিস্তানের ইমরান খানের।
আর সাকিব প্রথমবারের মতো টেস্টে নিলেন ১০ উইকেট। তাতেই ভারতের রবিচন্দন অশ্বিনকে পেছনে ফেলে ফের হয়েছেন টেস্টে বিশ্বের নাম্বারওয়ান অলরাউন্ডার।
Discussion about this post