সিঙ্গাপুরে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এমার্জিং টিমস কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ অনূর্ধ্ব-২৩ দলও। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের পাডাং মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট দলের বাইরে একমাত্র দেশ হিসেবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে আমিরাত। সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। অন্য সেমিফাইনালে লড়বে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আমিরাতের ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলা ২০২ রানের জবাবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল ৪১ ওভারে অল আউট ১৪৩ রানে।
টস জিতেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান। কিন্তু প্রতিপক্ষের হাতে ব্যাট তুলে দিয়ে তিনিই প্রথম ভুলটি করেছেন। ডু অর ডাই ম্যাচে পরে ব্যাট করলে যে কোনো মোটামুটি স্কোরই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোও সেই একই মন্তব্য করেছে। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২ রান করে আমিরাত। যাতে ঠিক ১০০ রান করেন অন্যতম ওপেনার শাইমান আনোয়ার। বাকিদের মধ্যে শুধু অধিনায়ক রাজাই করেছেন উল্লেখ করার মতো ২৪ রান। ৩ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার নূর হোসেন ৩১ রানে। আসিফ আহমেদের ২ উইকেট।
জয়ের টার্গেট ২০৩ রান। কিন্তু এটাই বাংলাদেশের সামনে চাপের ম্যাচে অনতিক্রম্য হয়ে যায়। টপ অর্ডারের পাঁচজনই ভালো শুরু করেও বড় অঙ্কের রান পেতে ব্যর্থ। মাইশুকুর রহমানের ৩৪ রানই দলের ইনিংসে সর্বোচ্চ। সৌম্য সরকার ৩০, রনি তালুকদার ২১, মিঠুন আলী ১৫ এবং সাব্বির রহমান অপরাজিত ১৮ রান করেছেন। বাকিদের কেউই আর দুই অঙ্কের রান পাননি।
ঘটনা হল একসময় বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১৩৩ রানে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরই মহাধস। মাইশুকুর আউট হতেই অবিশ্বাস্যভাবে পরের ১০ রানের মধ্যে বাংলাদেশ অল আউট। মানে শেষ ৭ উইকেট পড়েছে ১০ রানে! এমন ধস নামানোর জন্য দায়ী একজনই। আমিরাতের অফ স্পিনার নাসির আজিজ। ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনি আমিরাতের এমন সাফল্যের অন্যতম সেরা রূপকার। যে কারণে ম্যাচসেরাও তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আমিরাত : ২০২/৮, ৫০ ওভার (শাইমান ১০০, রাজা ২৪, নাসির ১৭*; নূর হোসেন ৩/৩১, আসিফ ২/১৯)।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ : ১৪৩/১০, ৪১ ওভার (সৌম্য ৩০, মাইশুকুর ৩৪, রনি ২১, আসিফ ১৮*; নাসির ৫/১৭, রাজা ৩/২২)। ফল : আমিরাত ৫৯ রানে জয়ী।
Discussion about this post