সাকিব আল হাসান ফের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দল পেয়েছেন, এটা অনেকেরই জানা। পুরোনো ঠিকানা কলকাতা নাইট রাইডার্সে নাম লিখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলের আরেক তারকা ক্রিকেটার লিটন দাসেরও ঠিকানা হয়েছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের দলে। প্রথমবারের মতো ভারতীয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ডাক পেয়েছেন তিনি।
তাইতো এখন প্রশ্ন উড়ছে- আগামী বছর আইপিএল চলার সময় তো বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকবে। তারা কী তখন খেলার অনুমতি পাবেন?
উত্তর হলো সব ঠিকঠাক থাকলে-আইপিএলের পুরোটাতে খেলতে পারবেন না সাকিব-লিটন। ২০২৩ সালে আইপিএল চলবে মধ্য মার্চ থেকে মে পর্যন্ত। ৬৮ দিনের টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৭৪টি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শুরুর আর শেষ দিকে থাকতে পারবেন না। মাঝামাঝিতে ২৪ দিনের জন্য তারা পাবেন অনাপত্তিপত্র।
এমনিতে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশে আসবে। খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি। মার্চে আয়ারল্যান্ড আসবে। খেলবে এক টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ।এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডে যাবে তিন ওয়ানডে ও চার টি-টুয়েন্টি খেলতে। বিসিবি থেকে বিসিসিআইকে জানানো হয়েছে, ‘আইপিএলে আয়ারল্যান্ড সিরিজে নির্বাচিত খেলোয়াড়রা ৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবেন।’
তবে মুস্তাফিজুর রহমান এমন চাপে নাও পড়তে পারেন। দিল্লি ক্যাপিটালস বাংলাদেশের পেসারকে রেখে দিয়েছে। তার বাংলাদেশেরন হয়ে টেস্টে খেলার সম্ভাবনা নেই।
এবার কলকাতা লিটনকে ৫০ লাখ রুপিতে আর সাকিবকে দেড় কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে। আইপিএল নিয়ে এবার তেমন কথা বলছেন না সাকিব ঢাকা টেস্ট শেষে প্রসঙ্গ উঠতেই এড়িয়ে গেলেন। লিটন বললেন, ‘ওরকম কোনও কিছু না (অনুভূতি)… এখনও দেরি আছে, অনেক দূর (আইপিএলের)। আগে যাই, তার পর অনুভূতি হবে।’
Discussion about this post