নাথান লায়ন, মিশেল স্টার্ক ও পেট কামিন্স করলেন দুর্দান্ত বোলিং। তাতেই ফলোঅনে পড়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক সফরকারীদের সে লজ্জা না দিয়ে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নেমে উল্টো বিপদে পড়েছেন। সব মিলিয়ে অ্যাডিলেডে দিন-রাত্রির অ্যাশেজ জমে উঠেছে বেশ। তৃতীয় দিন শেষে সোমবার ৫৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ২১৫ রানে এগিয়ে থাকায় স্বাগতিকদের লিড দাঁড়িয়েছে ২৬৮ রানে। উইকেটে রয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও নাইট ওয়াচম্যান নাথান লায়ন।
প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২১৫ রানের লিডটাকে বাড়তে যেয়েই ইংল্যান্ডকে ফলোয়নে ফেলেও ব্যাটিংয়ে পাঠাননি স্মিথ। কিন্তু তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি ৫৩ রান তুলতেই তার দল হারাবে ৪ উইকেট। তারপরও শঙ্কার কিছু দেখছেন না তিনি। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের প্রতি রাখছেন আস্থা।
অ্যাডিলেডে বোলাররা যে আগুন ঝরাবেন, তা বোঝা গিয়েছিল ইংল্যান্ড ইনিংস দেখেই। ১ উইকেটে ২৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে দলীয় ৮০ রানের মধ্যে জেমন্স ভিন্স, জো রুট ও অ্যালেস্টার কুককে হারিয়ে বসে সফরকারীরা। এরপর কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলেন মঈন আলি ও ক্রিস ওকস। কিন্তু তাদেরকে খুব বেশি এগুতে দেননি নাথান ও স্টার্ক। শেষ পর্যন্ত ক্রেইগ ওভারটনের অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে ২২৭ রানে থামে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চলতি বছর টেস্টে সবচেয়ে (৫৫) বেশি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন লায়ন। এছাড়া স্টার্ক ৩টি ও কামিন্স নেন ২টি করে উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয় বাজে। দলীয় ৫ রানের মাথায় বেনক্রাফ্টকে হারায় তারা। জেমস অ্যান্ডারসনের দুর্দান্ত সুইংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর উসমান খাজার সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু ৩ রানের ব্যবধানে তাদের দু’জনকে এক ওভার ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরান ক্রিস ওকস ও অ্যান্ডারসন। সেট হওয়ার আগেই কিছুক্ষণ পরই স্মিথকে ফেরান ওকস। এরপর দিনের বাকিটা সময় নিরাপদে কাটান লায়ন ও হ্যান্ডসকম্ব।
Discussion about this post