ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
৪৩ রানের অলআউটের যন্ত্রনা ভুলতেই এখন অ্যান্টিগা ছেড়ে জ্যামাইকাতে পা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুঃস্বপ্ন ভুলে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে খেলতে নামবে টাইগাররা। তার আগে খেলার খেলার প্রত্যয় সাকিব আল হাসানদের। ফর্মে ফেরার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা।
সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল এক ইনিংস ও ২১৯ রানে। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও মনে করছেন দ্বিতীয় টেস্টে দল ঘুরে দাঁড়াবে, ‘দেখুন এটা সবাই দেখেছেন, প্রথম টেস্ট খারাপ হয়েছে। আমরা ভালো করতে পারিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলছে। আরেকটি টেস্ট আছে। আমাদের সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আশা করি, আমরা যতটা পারি, ভালো খেলব। উন্নতি করত পারব। অবশ্যই এটি বড় এক পরীক্ষা। দেশের বাইরে আমাদের রেকর্ড ভালো নয়। এবার ভাল খেলার চেস্টা করবো।’
জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কে ২০০১ সালে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেন ওয়ালশ। এটি জন্মভূমি। ৫১৯ উইকেটের পাহাড়ে উঠে নিজের টেস্টকে গুডবাই বলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ কিংবদন্তি। সেই ক্রিকেটারটি এখন টাইগারদের বোলিং কোচ। তিনি জানালেন, ‘তাদের এই টেস্ট উপভোগ করতে বলেছি। বলেছি এটা পেসারদের জন্য বড় সুযোগ। নিজেদের প্রমাণ করো। এই টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছি আমি।’
সিরিজের প্রথম টেস্টের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ আসতেই তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের জন্য এটি আরেকটি ভালো সুযোগ। স্যাবিনা পার্কে কিভাবে বল করতে হয়, এখানকার যতটুকু আমি জানি, অবশ্যই ওদেরকে অবশ্যই জানাব। আশা করি মাঠে গিয়ে ওরা সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
বোলিং কোচ ওয়ালশের কাছে এই টেস্টটা বাংলাদেশ দলের জন্য বড় পরীক্ষা। হারলেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হবে। আগের ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে উঠতে হবে। এর আগে তামিম ইকবালও একই কথা বলেছেন। ভুলের বৃত্ত থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবেন তো ব্যাটসম্যানরা?
Discussion about this post