ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
মেহেদি হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে কুপোকাত সিলেট সিক্সার্স। আরেকটু হলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে রেকর্ড সর্বনিম্ন রানে অলআউট হতে যাচ্ছিল দলটি। অলক কাপালি সেই লজ্জা থেকে বাঁচালেও শেষ রক্ষা হয়নি। একেবারে অনায়াসে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৮ উইকেটের জয়ে হেসে-খেলে মাঠ ছেড়েছে তারা।
সিলেটকে মঙ্গলবার মাত্র ৬৮ রানে অলআউট করে কুমিল্লা। এরপর ৫৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে। পাঁচ ম্যাচে কুমিল্লার এটি তৃতীয় জয়। চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে সিলেট।
অথচ গবার দারুণ ছন্দে ছিল সিলেট। বিশেষ করে হোমগ্রাউন্ডে চার ম্যাচের চারটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। কিন্তু এবার শুরুতেই পথ হারাল। ডেভিড ওয়ার্নারও কিছু করতে পারছেন না।
ম্যাচে বল হাতে কুমিল্লার নায়ক মেহেদি হাসান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ২২ রানে চার উইকেট। এর আগে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের মেডেন ওভারে শুরু। পরের ওভারে মেহেদি তুলে নে আন্দ্রে ফ্লেচার ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। এলবিডব্লিউতে বিদায় আফিফ হোসেনের। যদিও নিকোলাস পুরান হ্যাটট্রিক বল থামিয়ে দেন। তবে এক পর্যায়ে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২২।
টি-টুয়েন্টিতে সর্বনিম্ন দলীয় রানের বিশ্বরেকর্ড ৩০, বিপিএল রেকর্ড ৪৪ রান। তাই যেন হতে যাচ্ছিল। কিন্তু অষ্টম জুটিতে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে অলক কাপালি গড়েন ২৩ রানের জুটি। শেষ উইকেটে আল আমিন হোসেনের সঙ্গে ২১। অলক ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
সিলেট সিক্সার্স: ১৪.৫ ওভারে ৬৮/১০ (ওয়ার্নার ০, ফ্লেচার ৪, লিটন ৬, আফিফ ০, পুরান ০, সাব্বির ৬, অলক ৩৩*, তানভির ৫, তাসকিন ৪, নাবিল ০, আল আমিন ৫; সাইফ ৪-১-১৮-১, মেহেদি ৪-০-২২-৪, ওয়াহাব ২.৫-০-১৫-৩, ডসন ৩-১-৪-২, আফ্রিদি ১-০-৮-০)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১১.১ ওভারে ৬৯/২ (এনামুল ০, তামিম ০, শামসুর ৩৪*, ইমরুল ৩০*; তানভির ৩-১-১০-১, আফিফ ১.১-০-১০-০, নাবিল ৩-০-১৫-০, তাসকিন ১-০-৮-০, অলক ২-০-১৩-০, আল আমিন ১-০-১০-০)।
ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মেহেদি হাসান
Discussion about this post