মুশফিকের সঙ্গে কথা বলেই অধিনায়ক করা হয় সাকিব আল হাসানকে। অবশ্য তিনি যে সরে যাচ্ছেন সেটা নিশ্চিত ছিল আগেই। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কিছু মন্তব্য আর টস কাণ্ডের পরই। তার অংশ হিসেবেই রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভা শেষে সাকিবের অধিনায়কত্বের ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমরা টেস্ট অধিনায়ক বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে আমারদের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।’
মুশফিককে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি থেকে কেন সরানো হল? এনিয়ে পাপন বলেন, ‘দেখুন, আমরা মুশফিকের সেরা ব্যাটিং দেখতে চাই। সে ব্যাটিংয়েই মনযোগ দিক। তাকে আমরা চাপমুক্ত করতে চাচ্ছি। ওভারঅল আমরা সামনে ৪-৫ বছরের যে পরিকল্পনা নিয়েছি, এটি তারই একটি অংশ।’ মুশফিকের নেতৃত্বে ৩৪ টেস্ট খেলে ৭টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হার ১৮ টেস্ট, ড্র হয়েছে অন্য ৯টি। এটি বাংলাদেশের যে কোন অধিনায়কের রেকর্ড সাফল্য। দেশের সফল টেস্ট অধিনায়কের অধ্যায় শেষ হয়ে গেল!
নতুন টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের অধ্যায় শুরু হয়ে যাবে আগামী মাসে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তার আগে বাংলাদেশকে ৯টি টেস্টে নেতৃত্ব দেন সাকিব। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় এই তারকা অলরাউন্ডারের। ২০১০ সালে সাতটি এবং ২০১১ সালে একটি টেস্টে টাইগারদের নেতৃত্ব দেন তিনি।
২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দুই ম্যাচে প্রথম অধিনায়কত্ব পান সাকিব। পরবর্তীতে ২০১০ও ২০১১ সালে আরও সাতটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন এই অলরাউন্ডার। যার মধ্যে মাত্র ১টি ম্যাচেই জয় পায় বাংলাদেশ। সেটি ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে। বাকি ৮টি ম্যাচেই হারে বাংলাদেশ দল।
Discussion about this post