সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের ৬ উইকেটে হার ছাপিয়ে গেল। আলোচনায় থাকলেন শুধু মাশরাফি বিন মতুর্জা। ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুধু একটাই প্রশ্ন- কেন এমন আচমকা সিদ্ধান্ত নিলেন মাশরাফি? কি এমন হয়েছিল যে চট-জলদি এমন চমকপ্রদ ঘোষণা দিতে হল?
ফেসবুকে স্ট্যাটাসে টাইগারদের রঙীন পোশাকের অধিনায়ক অবশ্য বলছিলেন তরুনদের জায়গা করে দিতেই সরে দাঁড়িয়েছেন টি-টুয়েন্টি থেকে। বৃহস্পতিবার লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলেই ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বলবেন গুডবাই! অথচ এমন কথা ছিল না। অন্তত সফরে যাওয়ার আগে মিডিয়াকে তেমন কোন ইঙ্গিত দেননি ম্যাশ।
অনলাইন নিউজপেপার বিডিনিউজ২৪- ”নির্ঘুম রাতে মাশরাফির অবসরের সিদ্ধান্ত” শিরোনামে এক সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রতিবেদককে এই লড়াকু ক্রিকেটার বলেছেন, “সিদ্ধান্ত নিয়েছি গতকাল রাত দুইটার দিকে, এনিয়ে ভাবতে গিয়ে সজাগ থাকতে হয়েছে সেই ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। দুপুরে উঠেছি, সবার আগে জানিয়েছি মাকে। এরপর বাবা-স্ত্রী, মামা, ঘনিষ্ট বন্ধু-স্বজনদের জানিয়েছি।”
তাহলে ম্যাশের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্তটা আচমকা আসল। তবে সেই নিউপেপারের আরেক রিপোর্টে জানানো হয় -জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে বেশ কিছুদিন আগেই বিসিবি কর্তাদের জানিয়েছেন, মাশরাফি, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীমকে তিনি টি-টুয়েন্টি দলে জরুরি মনে করেন না। আপাতত কোচের ভাবনার বাস্তবায়ন শুরু মাশরাফিকে দিয়েই।
ধারণা করা হচ্ছে এরপর তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীম কাটা পড়তে পারেন। আর অধিনায়ক করা হতে পারে সাকিব আল হাসানকে।
অবশ্য মাশরাফি এখনই সরে যেতে চাননি। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা নাকি তাকে টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে বলেন। সেই চাপ থেকেই তাহলে এমন সিদ্ধান্ত?
মিরপুর স্টেডিয়াম পাড়ায় জোর গুঞ্জন- সোমবার রাতে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন নাকি দলের সিনিয়র চার ক্রিকেটারকে ডেকে কথা বলেন। তখনই জানান তিন সংস্করণে তিন অধিনায়ক চায় বিসিবি।
এর আগে নিউজিল্যান্ড সফরের সময় বিসিবি প্রধান দেশে বসে সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছিলেন টি-টুয়েন্টি আর খেলবে না মাশরাফি। এনিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তারই যেন বাস্তবায়ন হল! সরে যেতে বাধ্য করা হল মাশরাফিকে।
তবে মঙ্গলবারের ম্যাচে হারের পর মাশরাফি নিজেই বলছিলেন, ‘এই সময় বিতর্ক না তৈরি করে আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করা উচিত। আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। মনে হয় না এই সব নিয়ে আলোচনা করার কিছু আছে।গতকাল (সোমবার) রাতে যখন সিদ্ধান্ত নিই তখন জানতাম একটা প্রশ্ন আসবে।বাংলাদেশের জন্য খেলছি আমি। একটা ম্যাচ জিতলে সেটা বাংলাদেশ জিতবে। সেখানে মাশরাফির চেয়ে দেশ অনেক বড়।এটাই শেষ কথা।’
Discussion about this post