ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফ্রান্স ১ : বেলজিয়াম ০
সেমিফাইনাল ম্যাচটির শিরোনাম হতে পারতো- খেলল বেলজিয়াম, জিতল ফ্রান্স। আসলে ফুটবল তো গোলেরই খেলা। এখানে ভাল খেললেই চলে না। চাই গোল। তবে কম যায়নি ফরাসিরাও! তারা নিজেদের কৌশলে সফল। বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স উঠে গেছে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেন্ট পিটার্সবাগ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দুর্দান্ত একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছেন দুই দলের ফুটবলাররা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এটি ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল হয়েই থাকল। টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত রেকর্ড নিয়ে খেলতে নেমেও জেতা হল না বেলজিয়ামের। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের অভিজ্ঞতার কাছেই হার মানতে হল। এর আগেও দলটি সেমিফাইনালেই আটকে গিয়েছিল। আর এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলছে ফরাসিরা। এর আগে ১৯৯৮, ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছির তারা।
সেমিফাইনালে ফ্রান্সের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছেন সামুয়েল উমতিতি। ৫১ মিনিটে আন্তোয়ান গ্রিজমানের কর্নার কিক থেকে উড়ে আসা বলে বুলেট গতির এক হেডে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউ কুরতোয়াকে পরাস্ত করেন উমতিতি। শেষ পর্যন্ত এই গোল ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে তারা।
ম্যাচে গোল না পেলেও দুর্দান্ত খেলেছেন ফ্রান্সের বিস্ময় বালক কিলিয়ান এমবাপে। দুর্দান্ত গতির এই ফুটবলার একাধিকবার তছনছ করেছেন বেলজিয়ামের রক্ষণভাগ। বুঝিয়ে দিয়েছেন ৪ বছর পর কাতার বিশ্বকাপে বড় তারকা হয়েই খেলতে যাবেন তিনি।
অন্যদিকে এখন নতুন এক রেকর্ডের সামনে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৯৯৮ সালে অধিনায়ক হয়ে ফ্রান্সকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ট্রফি। এবার কোচ হয়েও দলকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। শিরোপা জিততে পারলে ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পাশে তার নাম লেখা হবে। দু’জনই ফুটবলার ও কোচের ভুমিকায় জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপা!
এদিকে এই হারের মধ্য দিয়ে অবশ্য বিদায় হয়নি বেলজিয়ামের। তৃতীয়স্থানের জন্য এখন লড়বে তারা। আর ফ্রান্স ১৫ জুলাইয়ের অপেক্ষায় থাকবে। ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের বিজয়ীর মুখোমুখি হবে তারা!
Discussion about this post