ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফ্রান্স ৪ : ক্রোয়েশিয়া ২
শেষ পর্যন্ত নতুনের জয়গান দেখা গেল না রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে। ক্রোয়েশিয়া পারল না নতুন আরেক ইতিহাস গড়তে। রোববার মস্কোতে শেষ হাসি ফ্রান্সের। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে কাঁদিয়ে ৪-২ গোলে অনায়াস জয় তুলে নিল ফরাসিরা। ১৯৯৮ সালের পর আবারো বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন আইফেল টাওয়ারের দেশ।
খেলার ১৮তম মিনিটে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এরপর ২৮ মিনিটে সমতা ফেরান ইভান পেরিসিচ। ৩৮ মিনিটে আন্তোঁয়ান গ্রিজমানের পেনাল্টি নিশানা খুঁজে পেলে আনন্দে ফেটে পড়ে ফরাসিরা। ৫৯ মিনিটে পল পগবার গোল যেন ফ্রান্সে জয়টাই নিশ্চিত করে দেয়।
তারপরও থামেনি গোল উৎসব। ৬৫ মিনিটের কিলিয়ান এমবাপের গোল। এরপর মারিও মানজুকিচ ৬৯ মিনিটে ব্যবধান কমালেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে ক্রোয়েশিয়া শিরোপা জিততে পারল না।
১৮ মিনিটে আত্মঘাতি গোলটাই যেন সব শেষ করে দেয়। এটিই বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম আত্মঘাতি গোল। আর ২১ আসরে ১২তম আত্মঘাতি গোল। তারপর ২৮তম মিনিটে ইভান পেরিসিচম্যাচে ফেরান দলকে। এই বিশ্বকাপে পেরিসিচের এটি তৃতীয় গোল। ৩৮ মিনিটে আরো এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ডিবক্সে বল লাগে ইভান পেরিসিচের হাতে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। গোল করতে ভুল করেন নি গ্রিজমান। এবারের বিশ্বকাপে এটি তার চতুর্থ গোল।
৫৯তম মিনিটে পল পগবা গোল করলে চুপসে যায় ক্রোয়টরা। ৬৫তম মিনিটে এমবাপের গোলে আরো এগিয়ে যায় ফরাসিরা। এনিয়ে এবারের বিশ্বকাপে চতুর্থ গোলটি পেলেন এমবাপে। ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে ফাইনালে গোল পেলেন ১৯ বছর বয়সী এই তারকা! আর কোচ দিদিয়ের দেশম স্পর্শ করণেন অনন্য রেকর্ড। কোচ-অধিনায়ক দুই ভুমিকাতেই জিতলেন বিশ্বকাপ।
Discussion about this post